নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে পদ্মা-মেঘানায় ৩৭৪ জেলের কারাদণ্ড
প্রকাশিত : ১০:১৯, ৪ নভেম্বর ২০২৩
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর নৌ-সীমানায় মা ইলিশ নিধন করায় ২২ দিনে ৩৭৪ জেলের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ২৪ লাখ ৮৯৫ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
ইলিশের নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ২২ দিনের অভিযানে আটক ৩৭৪ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।শুক্রবার থেকে অভয়াশ্রম এলাকাগুলোতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। জেলার ৪৪ হাজার নিবন্ধিত জেলেরা পদ্মা-মেঘনা নদীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাছ ধরছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ২২ দিনের অভিযানের তথ্য প্রতিবেদন আকারে জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। ওই প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরের মেঘনা উপকুলীয় সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলায় টাস্কফোর্স অভিযান ৫৪৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে আটক ৩৭৪ জেলেকে ৮৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় এবং মামলা হয় ৪১৬টি। কারেন্ট জাল জব্দ করা হয় ২৪ লাখ ৮৯৫ মিটার।
এছাড়া ২৪ টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মাছঘাট ৩৭০, আড়ত ২০৬৮ ও বাজার এলাকায় ৮৯২ বার পরিদর্শন করেছে টাস্কফোর্স। উল্লিখিত অভিযানে জেলেদের কাছ থেকে জব্দ হয়েছে ২ দশমিক ২৯৮ মেট্টিক টন ইলিশ। এছাড়া আটক জেলেদের কাছ থেকে মৎস্য আইনে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ৮৩২ টাকা।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানান, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মা ইলিশ নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। অভিযানে মৎস্য বিভাগকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও কোস্টগার্ড সার্বিক সহযোগিতা করেছে। ইলিশ ধরা থেকে বিরত জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়। তারপরেও যারা আইন অমান্য করে মা ইলিশ ধরেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন