নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ পরিবহন, জরিমানার কবলে জেলে
প্রকাশিত : ১০:৩৭, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ পরিবহন করার দায়ে বরগুনায় দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। জব্দকৃত ছয় মণ ইলিশ কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে শুনতে পাই বরগুনা সদর উপজেলার বড়ইতলা ফেরিঘাট দিয়ে পিকআপে করে ইলিশ পরিবহন করে নিয়ে যাচ্ছে জেলেরা। তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টিম গিয়ে মাছ জব্দ করে এবং এসময় ১৮ জন জেলেকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা জেলেরা জানায় তারা বরগুনার শুক্কুর মৎস্য কোম্পানির ট্রলারে মাছ ধরার কাজ করেন, তাই এই নিষেধাজ্ঞার ছুটিতে বাড়িতে খাওয়ার সময় এই মাছ নিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন মাছ আহরণ, পরিবহন এবং সংরক্ষণ সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই জব্দকৃত প্রক্রিয়াকরণ ছয় মণ ইলিশ মাছ কেরোসিন দিয়ে পুরিয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে এবং ২০ কেজি তাজা ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
মাছ পরিবহনের দায়ে জেলেদের পাঁচ হাজার টাকা ও অভিযুক্ত জেলেদের প্রতিষ্ঠান শুক্কুর কোম্পানির মালিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ফয়সাল আহম্মেদ। এসময় আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী পুলিশের সদস্যরা ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ মৎস্য অফিসের অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন চলবে এই নিষেধাজ্ঞা। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগ।
এএইচ
আরও পড়ুন