নিহত সাংবাদিক নহর আলীর ছেলে রিপন এখন আর রিক্সা চালান না
প্রকাশিত : ০৯:৩৫, ২ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১০:১৩, ৩ জুন ২০১৭
চরমপন্থীদের হাতে নিহত সাংবাদিক নহর আলী শেখের ছেলে রিপন এখন আর ঢাকায় রিক্সা চালান না। গেল দেড় বছর ধরে সিঙ্গাপুরে একটি প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে চাকরী করে এখন তিনি স্বাবলম্বী। পরিবারেও এসেছে স্বচ্ছলতা, তার মায়ের মুখে হাসি ফুটেছে। সম্মানজনক কর্মসংস্থানের উদ্যোগ যারা নিয়েছিলেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ রিপন।
২০০১ সালের ২১ এপ্রিল চরমপন্থীদের হাতে নিহত হন সাংবাদিক এস এম নহর আলী। খুলনার ডুমুরিয়ায় দৈনিক অনির্বাণে কর্মরত ছিলেন তিনি।
নহর আলী মৃত্যুর পর অর্থকষ্টে পরে তার পরিবার, বন্ধ হয়ে যায় সন্তানদের লেখাপড়া, ঘুরে দাড়াতে পারছিলোনা কোনোভাবেই। ১৩ বছরেও কোনো পথ না পেয়ে ২০১৪ সালে ঢাকায় আসেন তার ছেলে রিপন শেখ। জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নেন রিক্সা। একদিকে লজ্জা, অন্যদিকে কাঁধে পরিবারের ভার।
রিপনের পরিচয় পেয়ে পত্রিকা খবর ছাপা হয়“ নিহত সাংবাদিকের ছেলে রিক্সাচালক” শিরোনামে। বিষয়টি নজরে আসে সাংবাদিক নেতাদের। সম্মানজনক কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। এ উদ্যোগে যুক্ত হয় জনশক্তি প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে রিপনকে নিয়ে পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত শিরোনাম বদলে যায়। নিহত সাংবাদিক নহর আলীর ছেলের বিদেশ যাত্রা নিয়ে হয় অনুষ্ঠান।
সিংক : মনজুরুল আহসান বুলবুল, সভাপতি, বিএফইউজে
প্রায় দেড় বছর পর দেশে বেড়াতে এসে সেসব কথাই স্মরন করলেন রিপন শেখ। একটা দীর্ঘ সময় দারিদ্র আর চরম অবহেলায় কাটলেও সাংবাদিকের ছেলে হিসেবে তিনি আজ গর্বিত।
রিপনের কণ্ঠে পিতৃ হত্যার যন্ত্রণা যেমন আছে, তেমনি আছে বর্তমান অবস্থানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও।
রিপনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিনাখরচে সিঙ্গাপুরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। ভবিষ্যতেও অসহায়দের সহায়তার এমন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা জানান প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার।
অন্য জনশাক্তি রপ্তানি কারকদেরও অসহায়দের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
বিদেশে কর্মী প্রেরণ ও তাদের কল্যাণে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তিনি।