ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নুহাশপল্লীতে হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:২৬, ১৯ জুলাই ২০২০

হুমায়ূন আহমেদের সমাধির পাশে তার স্বজনরা- একুশে টেলিভিশন

হুমায়ূন আহমেদের সমাধির পাশে তার স্বজনরা- একুশে টেলিভিশন

Ekushey Television Ltd.

আজ রোববার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। লেখকের নন্দনকানন নুহাশপল্লীতে তিনি চিরনিদ্রয়া শায়িত। সেখানে তাঁর স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে লেখককে স্মরণ করলেন। 

সকালে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদ নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূনের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের প্রকাশক, শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়াও করা হয়। 

প্রতিবার এই দিনে হুমায়ূনকে স্মরণ করতে তার পরিবার, ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচু তলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রূপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা। এবার করোনা ঝুঁকিতে স্বাস্থ্যবিধির বাধ্যবাধকতা থাকায় দূরদূরান্তের লেখক ভক্তরা নুহাশপল্লীতে না এলেও কিছু সংখ্যক অনুরাগী উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা লেখকের প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান।

অন্যপ্রকাশের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ ৫০ ধরে বাঙালি পাঠক সমাজকে আনন্দ দিয়েছেন এবং বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে ততদিন হুমায়ূন আহমেদ পঠিত হবে।’

কবর জিয়ারত শেষ মেহের আফরোজ শাওন গণমাধ্যমকে হুমায়ূনের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্বক্ত করেন। তবে পারিবারিক সিদ্ধাহীনতার কারণে ক্যান্সার হাসপাতাল ও জাদুঘর নির্মাণ শুরু করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান। বিশ্বমানের একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা এই লেখকের স্বপ্ন ছিল। তা এখনো বাস্তবায়ন করা যায়নি। সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে এদেশের সকল ভক্ত ও অনুরাগীদের হৃদয়ে কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

এমএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি