নেতাদের মধ্যে দূরত্ব ভাবাচ্ছে ক্ষমতাসীনদের (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৪৩, ৯ মে ২০২২
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে সেপ্টেম্বরের পর মাঠ দখল করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর আগে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থামাতে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছে দলটি। যদিও মন্ত্রী-এমপিদের সাথে জেলার নেতাদের দূরত্ব ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতাদের। তবে তাদের আশা, আগামী চার মাসের মধ্যে কেটে যাবে সব দ্বন্দ্ব।
টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পরও গেল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকাপ্রার্থীদের জয়ের হার নিয়ে খুশি নয় আওয়ামী লীগ। তাই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র।
তৃণমূল আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী ও সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আনতে আট বিভাগে কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ করছেন তারা।
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মনিটরিং করছেন, বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক টিমগুলোকে সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। সেখানে যারা সিন্ডিকেট হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা কখনই সফল হবেন না।”
যদিও সম্মেলনের পর থেকেই রাজশাহী, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে স্থানীয় এমপি ও জেলা নেতাদের দ্বন্দ্বে বেড়েছে দূরত্ব।
দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, “অনেক জায়গায় সাংগঠনিক সমস্যা রয়েছে, উপদলীয় কোন্দল রয়েছে। কিন্তু এই উপদলীয় কোন্দল নিরসনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করি নির্বাচনের প্রাক্কালে কিংবা জাতীয় কাউন্সিলের পূর্বে এই ধরনের কোন্দল নিরসন করতে সক্ষম হব।”
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে নেতারা। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের লাগাম টানতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জেলা-উপজেলায় গিয়ে বৈঠক করছেন।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “আগামী নির্বাচনকে সামনে নিয়ে যে অভ্যন্তরীণ যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি অথবা প্রতিযোগিতাময় একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এগুলোকে গুছিয়ে আনার চেষ্টা করছি এবং অনেকখানি সফলও হয়েছি। দূরত্ব বা মত পার্থক্যের জায়গাটা দূর করার চেষ্টা করছি।”
সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাংগঠনিক কাঠামো আরও গতিশীল করে আগামী নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মাঠ দখল করতে চায় ক্ষমতাসীনরা।
এএইচ/
আরও পড়ুন