নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পর্যটনের বহুমুখী সম্ভাবনা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৫২, ৯ মে ২০১৮
গারো পাহাড়ের পাদদেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত নেত্রকোনার দুর্গাপুরে রয়েছে পর্যটনের বহুমুখী সম্ভাবনা। পাহাড়ের বুক চিরে স্বচ্ছ ঝর্ণাধারা, সোমেশ্বরী নদী আর সাদামাটির পাহাড় আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। এই মনোরম পরিবেশে উপভোগ করতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে অসংখ্য মানুষ। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করে স্থানীয়রা।
নেত্রকোণা জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর। বহু বিপ্লব, বিদ্রোহের সাক্ষী ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পাহাড়ী জনপদ এই দুর্গাপুর। দুর্গাপুরের প্রবেশদ্বার বিরিশিরিতে প্রথমেই দর্শনার্থীদের চোখে পড়ে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি।
এছাড়াও রয়েছে, টংক আন্দোলনের স্মৃতিসোৗধ, হাজং মাতা রাশিমনির স্মৃতিসৌধ, ক্যাথলিক গির্জা, রানী খং মিশন, সাদা মাটির পাহাড়সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। পাহাড় থেকে নেমে আসা সোমেশ্বরী নদী চোখ জুড়ায় পর্যটকদের। এ’সব সৌন্দর্যের টানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ছুটে আসেন অসংখ্য পর্যটক।
তবে, সড়ক সহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করে স্থানীয়রা।
নেত্রকোণার দর্র্শনীয় স্থানগুলোকে অচিরেই পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
পর্যটন শিল্পের সব রসদই রয়েছে দুর্গাপুর। তাই পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে নেত্রকোণাবাসী।
আরও পড়ুন