ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

নৌকার হিমাগারে ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের লাশ শনাক্ত শেষে হস্তান্তর

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২১:০২, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন নাজিরারটেক পয়েন্টে সাগরে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত ১০ জেলের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হওয়া ৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় পরিবার প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন জেলা প্রশাসন।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে এসব মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম প্রকাশ সামশু মাঝির মরদেহ গ্রহণ করেন স্ত্রী রোকেয়া বেগম, চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের জঙ্গলকাটা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়ার মরদেহ গ্রহণ করেন তার বাবা, শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের জাফর আলমের ছেলে শওকত উল্লাহর মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই আয়াত উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের বটতলী এলাকার শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের মরদেহ গ্রহণ করেন স্ত্রী হাফিজা বেগম, শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের মুসা আলীর ছেলে গণি ওসমানের মরদেহ গ্রহণ করেন মা জহুরা বেগম, একই ইউনিয়নের মোহাম্মদ হোসনের ছেলে নুরুল কবিরের মরদেহ গ্রহণ করেন তার বাবা।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তরকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষে দাফন কাফনের জন্য নিহতদের পরিবার প্রতি নগদ ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়।

এসময় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, দাফনসহ অন্যান্য কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে এ অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মৃত উদ্ধার ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের মরদেহ স্বজনরা শনাক্ত করার পর যাচাই-বাছাই শেষে নিকট স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর ৪ জনের লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। মৃতদেহ হস্তান্তর হওয়া এবং শনাক্ত না হওয়া সকলের মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষা করার পর পরিচয় আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে। 

পুলিশ সুপার বলেন, শনাক্ত হওয়া ৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর হয়েছে তাদের থানায় এজাহার জমা দিতে বলা হয়েছে। এজাহার পাওয়ার পর মামলা নথিভূক্ত হবে। রবিবার দুপুরে নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ভেসে আসা একটি ফিশিং ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

৬ জনের মরদেহ হস্তান্তরের পর এখন ৪ জনের মরদেহ রয়েছে। এরা হল-মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), শাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪) বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় হস্তান্তর করেননি পুলিশ। 
কেআই//
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি