পটুয়াখালীতে প্রস্তুত ৭৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র
প্রকাশিত : ১৫:০১, ২৫ মে ২০২৪
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জানানো হয়েছে, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ৭৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় জেলা প্রশাসকের দরবার হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, জেলা সার্জন অতিরিক্ত জেলা যাদব সরকার। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যোবায়ের আহাম্মেদ।
জেলা প্রশাসক জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩৫টি মুজিব কিল্লা, ৭৩০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লাখ টাকার গোখাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া শুকনা খাবার রয়েছে ১৫০০ প্যাকেট। নগদ টাকা রয়েছে ২৪ লাখ ৭ হাজার টাকা ৫০০ টাকা।
এ সময় মানুষকে সচেতন ও দুর্যোগে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকাসহ বিদ্যুৎ বিভাগ, সড়ক বিভাগ, ফায়ার সার্ভিসকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক।
জেলায় মোট ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সংরক্ষিত রয়েছে।
জেলায় ১৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগের সময় কোথাও ভাঙ্গন দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে, জেলায় ৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে রয়েছে মুগ ডাল এবং ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম জানান, সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র, শুকনা খাবার, মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তত রাখা হয়েছে। দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর খান, সিপিপি, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ
আরও পড়ুন