পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতার আন্দোলনে নতুন মাত্রা
প্রকাশিত : ০৮:৪৩, ২ মার্চ ২০২৩
আজ পতাকা উত্তোলন দিবস। ১৯৭১ এর এ’দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উড়েছিল বাংলাদেশের মানচিত্রশোভিত লাল-সবুজ পতাকা। এ ঘটনা স্বাধীনতার আন্দোলনে জুগিয়েছিল নতুন মাত্রা।
পাকিস্তানী শাসকদের শোষণ-নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে একাত্তরের শুরুতেই বেগবান হয় আন্দোলন।
’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর শঙ্কিত হয়ে ওঠে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী। ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবানের কথা থাকলেও অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা স্থগিত করে ইয়াহিয়া আর ভুট্টো।
প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় হয় ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ। যেখানে উঠে আসে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের প্রসঙ্গ। বঙ্গবন্ধু ২ ও ৩ মার্চ হরতালের ডাক দেন।
বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দীকী। মঞ্চে ছিলেন ডাকসু ভিপি আ স ম আব্দুর রব। মিছিল নিয়ে আসা ছাত্রলীগ নেতা শেখ জাহিদ সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝখানে সোনালি মানচিত্র খচিত পতাকা তাঁর হাতে তুলে দেন।
সমাবেশ থেকে ছাত্ররা মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যান। সেখানেও প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
লাল, সবুজ, সোনালি তিন রঙের পতাকা সেই যে বাংলার আকাশে উড়লো, তা আর নামেনি কোনোদিন। বাঙালির হৃদয় আকাশে লাল সবুজের চেতনা আজও মুক্তির কথা বলে, জানান দেয় স্বাধীনতা আর স্বাধীকারের ইতিহাস।
এএইচ