ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

পতেঙ্গা বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে কমবে কন্টেইনার জট (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩২, ১৫ নভেম্বর ২০২০

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তাবিত পতেঙ্গা বে-টার্মিনালের দৈর্ঘ্য হবে ছয় কিলোমিটার। যা আয়তনে মুল বন্দর থেকে বড়। এই টার্মিনাল নির্মিত হলে আগামী ৫০ বছর কন্টেইনার জট হবে না বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিধি বাড়াতে পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূলে বে-টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। মাস্টার প্ল্যানও তৈরি হয়েছে। এগিয়ে চলছে ভূমি অধিগ্রহণ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য মো. জাফর আলম বলেন, বে-টার্মিনাল হলে আরেকটি বড় সুবিধা হবে  সেটি হচ্ছে নগরের ভেতরের ট্রাফিক ব্যবস্থা এড়ানো যাবে। এই কার্যক্রমের জন্য বে-টার্মিনালের জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছু জমি পেয়েছি আরও কিছু জমি পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।

এরই মধ্যে অধিগ্রহণ করা ভূমিতে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। কর্তৃপক্ষের আশা ২০২৫ সালের মধ্যে বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের এই প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা।

জাফর আলম আরও বলেন, বন্দরের ক্ষেত্রে পিপিপি মডেলটি নতুন, আমরা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। খুব সহসাই এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বে-টার্মিনাল আমাদের বহরে যুক্ত হবে।

ব্যবসায়ী নেতাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো বন্দরের পরিধি বাড়ানোর। তাই পতেঙ্গা বে-টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যদি এখনই পরিকল্পনা না নেয় তাহলে কিন্তু ২০২৫ সালে গিয়ে এটা লকডাউনে পরে যাবে। আগামী ৫০ বছরে টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে না যদি বে-টার্মিনালটা শেষ হয়।

চট্টগ্রাম বে-টার্মিনাল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়াবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।  

ভিডিও-


এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি