পদ্মাসেতু নিছক অবকাঠামো নয়, প্রসন্ন ভাগ্যের সহযাত্রীও (ভিডিও)
প্রকাশিত : ২২:০৫, ৪ জুন ২০২২
সুন্দর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা এখন পদ্মার দুই তীরসহ দেশবাসীর হৃদয়ে। বহুল প্রত্যাশিত পদ্মাসেতু নিছক একটি অবকাঠামো নয়, সবার প্রসন্নভাগ্যের সহযাত্রীও। আগামী ২৫ জুনের সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে পদ্মা তীরবর্তী জনপদগুলোর মানুষ একুশে টেলিভিশনকে জানিয়েছেন সেসব প্রত্যাশার কথা।
কিশোরগঞ্জ থেকে এখানকার ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে এসেছেন এমন কয়েকজন জানান, নিয়মিত বাড়িতে যাতায়াতের সাহস-ই করতেন না, শুধু নদী পারাপারের ভোগান্তির ভয়ে।
কিন্তু এখন সেই ভয়ের কালো মেঘ সরে গেছে। প্রসারিত বুকে-বাঁধভাঙা খুশি সেতু চালুর খবরে। গতি পাবে চলাচলে, বাঁচবে অর্থ ও সময়। আশা জাগানিয়া সেতুটি উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে, পদ্মার এপার-ওপারের সবার মাঝেই।
অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞে বৈচিত্র্যের হাতছানিতে সঞ্চারিত দৃঢ় মনোবলও। কর্মসংস্থান ও উপকারভোগী হচ্ছেন কমপক্ষে তিন কোটি মানুষ। এরইমধ্যে, প্রত্যাশারও বেশি বিনিয়োগের পথ উন্মুক্ত হবার পাশাপাশি বসছে নতুন নতুন শিল্প-কলকারখানা।
গাঁয়ের মাঝি, জেলে, কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষেরাও ২৫ জুনের দিনটিকে দেখছেন নতুন সূচনার কাল হিসেবে। উৎপাদিত পণ্য মাঠ থেকে অনায়াসে যাবে রাজধানীসহ দূর-শহরতলীতে। লাভের দেখাও মিলবে ষোল আনাই।
নতুন প্রজন্মের স্বপ্নপূরণে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে খ্যাতনামা সব প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার সুযোগও হবে অবারিত।
সন্ধ্যাবেলায় এখন আর অন্ধকার নামে না পদ্মাপাড়ে। প্রকৃতির সুনশান নীরবতায়ও পদ্মাসেতু কেন্দ্রিক অর্থনীতি আলো জাগিয়ে রাখে, বিস্তীর্ণ জনপদের মানুষকে।
এনএস//