ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

পরিবেশ সুরক্ষায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ২১:৫০, ২ নভেম্বর ২০২০

দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ সন্ত্রাসবাদের মতো পরিবেশ সুরক্ষায়ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক ড. একে এম রফিক আহাম্মদ (অতিরিক্ত সচিব)। রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অলিম্পিয়াড-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, রংপুর এবং পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইকো- নেটওয়ার্ক এর যৌথ উদ্যোগে আজ সোমবার বিকাল ৩ টায় জুম প্লার্টফর্মের মাধ্যমে রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অলিম্পিয়াড-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাবিপ্রবির কৃষি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্ত্রের মহাপরিচালক ড. একে এম রফিক আহাম্মদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড (এসএফবিএল) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ সাইফুল ইসলাম , হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুক্বিত মজুমদার বাবু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইকো নেটওয়ার্কের সদস্য অনুপমা আনজুম ও সানজিদা সুলতানা সোমা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. একে এম রফিক আহাম্মদ বলেন, সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তোলা ছাড়া পরিবেশ রক্ষা করা কঠিন। নারী নির্যাতন,ধর্ষণ সন্ত্রাসবাদের মতো পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেকে যদি দূষণের বিষয়ে সচেতন হই তাহলে দেশ, জাতিকে দূষণমুক্ত পরিবেশ উপহার দেয়া কঠিন কিছু নয়। বর্তমান সরকার পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে বিশেষ গুরত্ব আরোপ করেছেন। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। বন্য প্রানী ও পরিবেশ সুরক্ষা আইন, পরিবেশের ক্ষতি করে এমন পণ্যের ব্যবহার ও উৎপাদনে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও আইন করা হয়েছে। তবে শুধু আইনের প্রয়োগ করেই পরিবেশ দূষণ কখনো কমানো সম্ভব নয়, সবার আগে ব্যক্তি সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে, ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে,কীটনাশক এবং কেমিক্যালের ব্যবহার কমাতে হবে।    

তিনি আরও বলেন, এই অলিম্পিয়াডের জন্য যে স্লোগানটি নির্বাচিত করা হয়েছে তা অত্যন্ত চমকপ্রদ হয়েছে। “আমাদের পরিবেশ,আমাদের দায়িত্ব”। প্রকৃত পক্ষে আমাদের সকলকেই পরিবেশ রক্ষায় দায়িত্ব নিতে হবে।এ সময় তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই আমরা সাউন্ড পলুশন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করবো,আশাকরি তোমরাও আমাদের সাথে থেকে কাজ করবে ।

এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে পরিবেশ অলিম্পিয়াড-২০২০ এর কনভেনার এবং হাবিপ্রবির কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শোয়াইবুর রহমান পরিবেশ, জলবায়ুর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা এবং পরিবেশ অলিম্পিয়াডের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলে, পরিবেশপ্রেমী হতে চাইলে আগে প্রকৃতিপ্রেমী হতে হবে। যে প্রকৃতিকে ভালবাসতে পারবে না সে পরিবেশপ্রেমী হবে কি করে। আজকাল প্রায়ঃশই আমরা কারন ছাড়াই গাছ কেটে ফেলি, ফুল ছিঁড়ে  ফেলি। অথচ ফুল গুলো গাছে থাকলে দেখতেও ভালো লাগে। আমাদের এসব থেকে বিরত থাকতে হবে। এসময় তিনি আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরও বলেন, পরিবেশ সচেতনতার জন্য আরও বেশি বেশি এই ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজন করতে হবে এবং প্রচারণা চালাতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,পরিবেশ অধিদপ্তর দিনাজপুর জেলার শাখার সহ-পরিচালক এক এম সামিউল আলম কুরসী , ইকো নেটওয়ার্ক হাবিপ্রবি শাখার ক্যাম্পাস এম্বাসেডর মোঃ সজন আহসান প্রমুখ।

পরিবেশ অলিম্পিয়াডটি ৭ টি সেগমেন্টে অনুষ্ঠিত হবে | ক্যাটাগরি: ১.স্কুল -কলেজ ( অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি); ২. স্নাতক- চাকুরীজীবি এবং ৬ টি সেগমেন্টে : ১.ইকো কুইজ, ২) ফটোগ্রাফি,৩) ভিডিও মেকিং ,৪) আর্ট, ৫) স্টোরি রাইটিং, ৬)রিসাইকেলিং আইডিয়া এবং (৭) ডিবেট প্রতিযোগীতা। প্রতিটি সেগমেন্টের দুইটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় জনের জন্য থাকছে প্রাইজ মানিসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার। আর এতে স্পন্সর হিসেবে থাকছে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড (এসএফবিএল) এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে চ্যানেল আই।

আরকে//
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি