ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত নেপোলিওনের স্মৃতিবিজড়িত হেলেনা দ্বীপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৩, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৭:২৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

অবশেষে পর্যীটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো নেপোলিওন বেনাপের্টের স্মৃতিবিজরিত সেইন্ট হেলেনা দ্বীপ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে এটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ছোট ব্রিটিশ দ্বীপে যেতে নৌকাই ভরসা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান কোম্পানি এয়ারলিঙ্ক সাপ্তাহিক ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। কেপ টাউন এবং জোহানেসবার্গ থেকে বিমানে চেপে যাওয়ার ব্যবস্থা করে হয়েছে সেইন্ট হেলেনায়।


একটি কারণেই আইল্যান্ড অব সেইন্ট হেলেনা বিখ্যাত হতে পারে। ওই দ্বীপে ১৮১৫ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৮২১ সাল পর্যন্ত ফ্রেঞ্চ সম্রাট নেপোলিওন বোনাপোর্ট নির্বাসিত ছিলেন। এটি একটি প্রত্যন্ত দ্বীপ। বহুকাল ধরে মানুষের দৃষ্টির বাইরে ছিল। কিন্তু এখন পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে।   


নামিবিয়া উপকূল থেকে পশ্চিমের দিকে দক্ষিণ আটলান্টিকে অবস্থিত এই দ্বীপ। সেইন্ট হেলেনা পৃথিবীর সেই অঞ্চলগুলোর একটি, যেখানে প্রবেশাধিকার দারুণভাবে সংরক্ষিত।


বড় একটি কারণ হলো, উনিশ শতকে খোদ নেপোলিওনকে নির্বাসিত করা হয় এখানে। মাত্র ১২২ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপে রয়াল মেইল শিপ সেইন্ট হেলেনার মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসেন পর্যটকরা। কেপ টাউন থেকে পৌঁছতেই ৫ দিন সময় লেগে যায়।  


সেইন্ট হেলেনাতে পা ফেললেই এক অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হবে। প্রথমেই মনে হবে, নেপোলিওন যেখানে বহু বছর সময় বন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন, সেখানে আপনি ঘোরাফেরা করছেন। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য দেখতে পারবেন। ডায়ানাস পিক ন্যাশনাল পার্ক সমুদ্রপৃষ্ঠ তেকে ৮২৩ মিটার উঁচুতে। সেখান থেকে দ্বীপের সৌন্দর্য পুরোপুরি চাক্ষুস হবে।

 
সেইন্ট হেলেনা দ্বীপে রয়েছে একমাত্র বন্দর জেমসটাউন। পর্যটকরা এখানেই এসে নামেন। যারা অভিযানে নামতে চান তারা জ্যাকোবস ল্যাডার বেয়ে ৬৯৯ পদক্ষেপ পাড়ি দিতে হবে। এটা এক ঐতিহাসিক মই। এই দ্বীপ ছাড়তেও হবে জেমসটাউন বন্দর থেকে। এখানে শহরের যে পার্ক রয়েছে সেখানে গেলে দেখা মিলবে কিছু স্থানীয় উদ্ভিদের। এগুলো অনেক কাজের। রোগবালাই তাড়ানো থেকে শুরু করে অনেক উপকারে লাগে।  
ফ্রেঞ্চ সম্রাটদের নির্বাসন হিসাবে নিয়মিত ব্যবহৃত হয়েছে সেইন্ট হেলেনা। সাবেক কর্সিকান জেনারেল ১৮১৫-১৮২১ সাল এখানেই নির্বাসিত ছিলেন। তার স্থানীয় নিবাস লংউড হাইজে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এখানকার ব্রায়ার্স প্যাভিলিওনে ছিলেন। এই ভবনগুলো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।  
তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
//এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি