পাঁঠার দাম ৩ লাখ টাকা!
প্রকাশিত : ১৬:১২, ১৩ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৬:১৪, ১৩ আগস্ট ২০১৮
চলছে পাঁঠা ছাগলের বেচাকেনা। আগামী শুক্রবার সনাতন সম্প্রদায়ের মনসা পূজা। তাই পূজাকে সামনে রেখে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পটিয়ায় পুরাতন থানা হাট ও ক্লাব রোডের নতুন থানা হাটে এবারও পাঁঠা ছাগলের বাজার বসেছে। ওই দুই হাটে শুধু পটিয়া নয়, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা ভিড় করেন। গত তিন সপ্তাহ ধরে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। ইজারাদার ও পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, হাট দুটি আগামী ১৭ আগস্ট মনসা পূজার দিন পর্যন্ত একটানা চলবে।
সরেজমিন দেখা যায়, হাটে বিক্রেতারা একেকটি পাঁঠার দাম হাঁকছেন ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। তাদের আশা, পূজা পর্যন্ত এখানকার হাটে কয়েক কোটি টাকার পাঁঠা বিক্রি হবে। তাই তাঁরা ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক পাঁঠা ছাগল এনেছেন। চট্টগ্রাম ছাড়াও পাবনা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বড় আকারের অসংখ্য পাঁঠা এনেছেন তাঁরা। বিক্রেতারা বলেন, বড় পাঁঠা বেচাকেনার জন্য পটিয়ার পুরাতন থানা হাটের শত বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। এবারও দেশের সেরা পাঁঠা বিক্রেতারা পাঁঠা নিয়ে হাজির হয়েছেন এখানে।
জানতে চাইলে পটিয়া পুরাতন থানা হাটে পাঁঠা কিনতে আসা স্বপন দাশ বলেন, ‘শুধু পটিয়া বা দক্ষিণ চট্টগ্রাম নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পাবনা, কুষ্টিয়া, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, ভৈরব, সিলেট, যশোর ও সন্দ্বীপ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন এখানে। পছন্দের পাঁঠা কিনে নিয়ে যান সবাই।’
পটিয়া নতুন থানা হাটে চক্রশালা গ্রামের খোকন মাঝি পাঁচটি পাঁঠা বিক্রি করতে এসেছেন। তাঁর পাঁঠাগুলোর মধ্যে তিনি একটি পাঁঠার দাম হাঁকেন দুই লাখ টাকা। আর একটি দেড় লাখ টাকা। ক্রেতারা ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় তাঁর পাঁঠা কিনতে চাইলেও তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁর বড় পাঁঠাগুলো অবিক্রিত ছিল মঙ্গলবার পর্যন্ত। তিনি বলেন, ‘আরো কয়েকদিন হাট আছে। আশা করছি আরো বেশি দামে আমার পাঁঠাগুলো বিক্রি করা যাবে।’
পটিয়া নতুন থানা হাটে পাঁঠা বিক্রেতা স্বপন দাশ জানান, তিনি যশোর থেকে পাঁঠা এনেছেন বিক্রি করতে। দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত তাঁর পাঁঠার দাম ওঠেছে।
নতুন থানা হাটের অন্যতম ইজারাদার লোকমান হাকিম বলেন, ‘এখানে পাঁঠার বাজারের সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পাঁঠা আনা হয়েছে প্রচুর। টোল নিয়েও কোনো সমস্যা নেই।’
অপরদিকে পুরাতন থানা হাটের অন্যতম ইজারাদার আবদুল মান্নান বলেন, ‘পটিয়ার পুরাতন থানার হাটে সহজ যোগাযোগের কারণে বেচাকেনা বেশ ভালো হয়। যোগাযোগসহ সার্বিক অনুকূল পরিবেশ থাকায় পছন্দের পাঁঠা বেচাকেনায় ভিড় করেছেন সবাই।’
এসি
আরও পড়ুন