ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পাট নিয়ে গবেষণা নামে আছে, কাজে নেই (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৭, ৪ মার্চ ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

জীবন রহস্য উন্মোচনের পর পাট নিয়ে উচ্চতর গবেষণা অনেক এগুবে- এমন আশায় আজ গুড়েবালি। চাহিদামত উন্নত জাত কিংবা চাষের প্রযুক্তি এখনও পায়নি কৃষক। এমনকি গবেষণাও অনেকটা আটকে আছে একটা গণ্ডির মধ্যেই। 

পাটের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচন তাক লাগিয়ে দেয় পুরো বিশ্বকে। 

কৃষকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, পাটের ধুঁকে ধুঁকে চলার দিন বুঝি শেষ হলো। এদেশের জল-মাটি, আর আবহাওয়ার উপযোগী জাত বিকাশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মাকসুদুল আলম। 

জেনেটিক কোডগুলো যেহেতু উন্মুক্ত। তাই কথা ছিলো, কাঙ্ক্ষিত গুনাগুন যুক্ত করা কিংবা কোষের জিনের রূপান্তর করে পাটকে উন্নত করার। কিন্তু ডক্টর মাকসুদুল আলমের মৃত্যুর পর এ কাজ গতি পায়নি তেমন একটা। তাঁর সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা অবশ্য চেষ্টা করেছেন।

বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস চেয়ারম্যান হাসিনা খান বলেন, “আমরা আরেকটু গবেষণা করছি, যাতে পাট পঁচানোটা অল্প পানিতে করতে পারি। তাতে গুনাগুন ঠিক রেখে অল্প পানিতে ও অল্প সময়ে হয়ে যাচ্ছে। সেদিক দিয়ে পাটে কৃষক অনেক লাভবান হবেন।”

পাট বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. মনজুর হোসেন বলেন, “জেনোসিয়োন্সি অত্যাধুনিক গবেষণা। সেই গবেষণায় বাংলাদেশের সফলতা এসেছে। কিন্তু তার সুফল যে মানুষের দোরগড়ায় পৌঁছেনি।”

উন্নত বিশ্বে জীন রূপান্তর কিছুটা সম্ভব হলেও, বাংলাদেশ তা হয় না। এমনকি, জীন এডিটিং করে, কাঙ্ক্ষিত গুনাগুন বিকাশ করলেও ছাড়পত্র দেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। জাত আটকে আছে তাই গবেষণাগারে।

হাসিনা খান বলেন, “পাট কোন ধাপে ধাপে তৈরি হয় সেটা জেনে গেছি, তো এটা জেনেটিক মটিফাইড করা হয়েছে। সেই পাটকে এখনও পরিবেশে উন্মুক্ত করতে পারিনি। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এর ছাড় পাওয়া খুবই দুরূহ ব্যাপার। তবে আমরা চেষ্টা করছি।”

সব গবেষণাই সময় সাপেক্ষ, অনেক ব্যয়বহুল আর প্রয়োজনীয় সংখ্যক মানব সম্পদ থাকতে হয়। কিন্তু এদেশের পদে পদে সংকট যেন পিছু ছাড়েই না। এটা ঠিক বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে ঠিকই কিন্তু তাদের সফলতা নিয়েও প্রশ্ন জনে জনে। 

বাংলাদেশ জুট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এ. বি. এম আব্দুল্লাহ বলেন, “
বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন বিজেএম চেয়ারম্যান আবুল হাসান বলেন, “পাট নিয়ে গবেষণা নামে আছে কাজে নেই। ভালো বীজ না থাকাতে উৎপাদন কম হচ্ছে।”

শুধু পাট নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন গবেষণার এখনও খুব অভাব। আর বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয় ঠিকই কিন্তু মাঠে তার প্রয়োগ খুব একটা দেখা যায় না।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি