ঢাকা, বুধবার   ২২ জানুয়ারি ২০২৫

পাথরের নিচে মিলল ১৮৮ বস্তা ভারতীয় চিনি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:১৩, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৩:১৩, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

প্রতিদিন রাতে সিলেটের তামাবিল থেকে শত শত ট্রাকভর্তি পাথর দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে যাচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমনই একটি ট্রাক আটক করে মৌলভীবাজার ডিবি পুলিশের একটি টিম। আর ট্রাকে থাকা পাথরের নিচে পাওয়া গেলো ১৮৮ বস্তা চিনি।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কলারগাও যাত্রীছাউনি এলাকায় মঙ্গলবার ওই ঘটনাটি ঘটে।

মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাশেম সরকার জানান, আটক ট্রাকের চালকসহ আরও একজন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা জানায় পাথর নিয়ে কুমিল্লা যাচ্ছে। খটকাটা এখানেই। পাথর ভর্তি ট্রাকটি কুমিল্লা যেতে মৌলভীবাজারের শেরপুর থেকে বাইপাসে না গিয়ে মৌলভীবাজার শহরে হয়ে যাচ্ছে কেন। 

এ সময় ডিবি পুলিশের টিম ট্রাকে উঠে কিছু পাথর সরিয়ে দেখতে পান পুরো ট্রাকটি পলিথিনে ঢাকা তার উপর একসারি বড় বড় পাথর। এরপর পাথর নামিয়ে পলিথিন সরিয়ে দেখতে পান বস্তা ভর্তি চিনি। এরপর একে একে ১৮৮টি বস্তা নামান। 

পরে ট্রাকসহ ১৮৮ বস্তা চিনি জব্দ করে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।

অভিযান পরিচালনাকারী এসআই মাহমুদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কলারগাও যাত্রীছাউনি এলাকায় সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে আসা একটি ট্রাক তল্লাশি করে ১৮৮ বস্তায় ৫০ কেজি করে মোট ৯,৪০০/- কেজি চিনি জব্দ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা। এসময় চিনি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে। 

আটক করা হয় জৈন্তাপুর উপজেলার কেন্দ্রী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আলী (২৫) এবং একই উপজেলার বারঘাতি গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে রিফাত হাসান দিপু (২২)কে।

তিনি জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে জানতে পারেন চিনি পাচারকারী এই চক্র সিলেট জেলার জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তা সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে কুমিল্লা নিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্যই চিনির উপর পাথর সাজিয়ে পাচারের চেষ্টা করছিল।

মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাশেম সরকার জানান, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আমদানি করার অপরাধে আটককৃত দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার বিকালে মৌলভীবাজার মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সদর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (বি)/ডি ধারায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

তিনি জানান, চিনি পাচারের সাথে বড় একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে মূল হোতার নাম জানা যায়নি। তবে তাদের রিমান্ডে এনে পুরো চক্রটিকে ধরার জন্য চেষ্টা করা হবে।

মৌলভীবাজার মিডিয়া সেলের এসআই মাহমুদ জানান, আটককৃত চিনি কোর্টের আদেশ নিয়ে নিলাম করা হবে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি