পানামা পেপার্সে আরো ২ লাখ ১৪ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ
প্রকাশিত : ১৬:২১, ১০ মে ২০১৬ | আপডেট: ১৬:২১, ১০ মে ২০১৬
দ্বিতীয় ধাপে পানামা পেপার্সের আরো ২ লাখ ১৪ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করল ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম- আইসিআইজে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক বাংলাদেশীর নাম। চীন, হংকং, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে এরা যোগাযোগ করেছে। যদিও আইসিআইজে বলছে, তালিকার সবাই আইন ভেঙ্গে ব্যবসা না করলেও, অধিকাংশই কর ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছে।
আবারও ঝড় তুলল পানামা পেপার্স। এবার বের হয়ে এলো কর ফাঁকি দিয়ে বেনামে বিপুল সম্পদ পাচারের নেপথ্যে থাকা বিশ্বের দুই লাখেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা থেকে শুরু করে হংকং-ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড পর্যন্ত- ২১টি অঞ্চলের অফশোর কোম্পানির ডাটা বেইস এবার সরাসরি অনলাইনে উন্মুক্ত করেছে সাংবাদিক সংগঠন-ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম- আইসিআইজে।
এবারের তালিকায় রয়েছে অর্ধশতাধিক বাংলাদেশীরও নাম। ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ বিমান, ইসলামী সলিডারিটি শিপিং কোম্পানি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল এজেন্সি, এসার বাংলাদেশ হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিটেড ও টেলিকম ডিভালাপমেন্ট কোম্পানি।
এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা জাফরউল্যাহ ও নীলুফার জাফরউল্যাহ, সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী, আব্দুল মোনেম গ্র“পের এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম এবং আসমা মোনেম, আফজালুর রহমান, কফিল এইচ এস মুয়ীদ, আবুল বাশারসহ অনেক বিদেশি নাগরিকের নামও দেখা গেছে ঐ তালিকায়। একইসঙ্গে প্রত্যেকে কোন দেশের মোসাক ফনসেকার মাধ্যমে কর ফাঁকি দিয়েছে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে তালিকায়।
আইসিআইজে বলছে, তালিকায় নাম আসা সবাই আইন ভেঙ্গে ব্যবসা করেছেন, এমনটা নয়। তবে অনেকেই অর্থ পাচার কিংবা কর ফাঁকি দিতে আইনের ফাঁক-ফোঁকর খুঁজেছেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে পাকিস্তানের ২৫৯ জনের নাম রয়েছে। একইসঙ্গে ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে অফশোর কোম্পানির উত্থান-পতন, নেটওয়ার্ক বিস্তারসহ কারা কারা এর ক্লায়েন্ট- এসব তথ্য উঠে এসেছে পানামা পেপার্সে। ওদিকে, আইনি দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে একটি চিঠিতে সই করেছেন তিন শতাধিক অর্থনীতিবিদ।
আরও পড়ুন