পাহাড়ী জনপদে ৬ মাসে নিহত ১৭
প্রকাশিত : ১৫:১৯, ১১ মে ২০১৮
আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সংঘাতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়ী জনপদ। অশান্তির আগুনে গত ৬ মাসে প্রাণ হারিয়েছে ১৭ জন। ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত থেকে উত্তরণের জন্য পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন ও আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে সমাঝোতার তাগিদ দিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা সশস্ত্র সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হয়। সেসময় চুক্তির বিরোধিতা করে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বে জন্ম নেয় নতুন সংগঠন- ইউপিডিএফ। এরপর শুরু হয় জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফের মধ্যে বিবাদ।
পরে ২০১০ সালে জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে সুধাসিন্ধু খীসার নেতৃত্বে এমএন লারমা গ্রুপ এবং গত বছরের ১৫ নভেম্বর ইউপিডিএফ ভেঙ্গে গঠিত হয় গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ। বিভিন্ন ইস্যুতে এসব সংগঠনের মধ্যে দিন দিন বিরোধ বাড়ছে। ঘটছে সংঘাত- প্রাণহানির ঘটনা। ৩ মে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা গ্রুপের নেতা ও নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা। পরদিন তার শেষকৃত্যে যাওয়ার সময়
সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ প্রধান তপন জ্যোতি চাকমাসহ ৫ জন। এ নিয়ে গত ৬ মাসে পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে জনপ্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির তাগিদ দিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা। শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নও চান তারা।
একে//
আরও পড়ুন