পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে পার্বত্য জনপদের হাজারো পরিবার
প্রকাশিত : ১৫:১৭, ২০ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৪৩, ২০ জুন ২০১৭
টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে পার্বত্য জনপদের হাজারো পরিবার। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করা ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের পুনর্বাসনে এখনো কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল না হওয়ায়, জনজীবনের ভোগান্তি কাটেনি। অন্যদিকে খাগড়াছড়িতে আবারো পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে ৫টি গ্রাম।
সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধসে পার্বত্যাঞ্চলে ব্যাপক প্রানহানির পরও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে অনেক এলাকা।
খাগড়াছড়ি জেলায় হাজারো পরিবার ঝুঁকির মধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে। এরমধ্যে অতিঝুকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত সদর উপজেলা শালবন, সবুজবাগ, মোল্লাপাড়া, কুমিল্লাটিলা ও কলাবাগানসহ আরো কিছু এলাকা। পাহাড় কেটে বা পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণের ফলে এমন ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন এলাকাবাসী।
ঝুঁকিপূর্ন স্থানে বসবাসকারিদের সরিয়ে নিতে কাজ করছে প্রশাসন, এসব এলাকায় মাইকিংসহ নানা কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রশাসন। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে জোর তৎপরতা চলছে বলেও জানান কর্মকর্তারা।
রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি সচল হতে আরো সময় লাগবে। এ অবস্থায় জেলার জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি না হওয়ায়, আশ্রয়ক্রেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষদের পুনর্বাসনের কাজ এখনো শুরু হয়নি।
এদিকে, নতুন করে পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় মাইনী নদীর দু’কূল উপচে মেরুং ইউনিয়নের ছোটমেরুং বাজার, হাজাছড়া, সোবাহানপুর, চিটাগাংগ্যাপাড়া ও ছদকছড়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় ত্রান বিতরন কার্যক্রম চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
বান্দরবান পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা প্রশাসন। জানানো হয় জানানে হয় ১২ টি আশ্রয় কেন্দ্রে পায় আড়াই হাজার মানুষ আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে অবস্থার উন্নতি হওয়ার অনেকে ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন