পিলখানা ট্রাজেডি : আজ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়
প্রকাশিত : ০৯:১১, ৮ জানুয়ারি ২০২০
* দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক আসামির ফাঁসির আদেশ সংবলিত রায়।
* ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায়।
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের সময় হত্যা মামলার হাইকোর্টের দেওয়া আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় (ডেথ রেফারেন্স ও আপিল) প্রকাশ করা হবে আজ বুধবার। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার এ রায় আজ প্রকাশ হবে।
হাইকোর্টের দেওয়া এ রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার প্রক্রিয়ার দুটি ধাপ শেষ হবে। এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ মামলার সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে অন্যতম পরিকল্পনাকারী ডিএডি তৌহিদসহ ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখা হয়। পাশাপশি ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৯৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ দেওয়া হয়। খালাস পান ৪৯ আসামি। দুই বছরেরও বেশি সময় পর প্রকাশ হতে যাচ্ছে আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়। এটি হবে দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক আসামির ফাঁসির আদেশ সংবলিত রায়।
নিয়ম অনুযায়ী হত্যা মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উভয়পক্ষ আপিল করতে পারবে। আপিল নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে বিচার শেষ হবে। এরপর রিভিউ আবেদন ও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি থাকবে।
এ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১৫২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারক।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকা সংঘটিত হয়। ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান মোট ৭৪ জন। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ম্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক নবজ্যোতি খিসা। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়।
এসএ/
আরও পড়ুন