ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

পুঁজিবাজারে অবন্টিত লভ্যাংশ ১৭ হাজার কোটি টাকা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৩, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৫:৩৯, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ অবণ্টিত লভ্যাংশের খোঁজ পেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে জমতে থাকা এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। আইন অনুয়ায়ী সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের কাছে এসব মুনাফা পৌঁছে দিতে চায় বিএসইসি। তবে দাবিদার না পাওয়া গেলে এসব অর্থ পুঁজিবাজারের কল্যাণে ব্যবহারের কথাও ভাবছে সংস্থাটি। 

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ঘোষিত লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড নগদ হলে শেয়ারহোল্ডারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, আর স্টক হলে বিও অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। এছাড়া ডাকযোগেও ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট পাঠায় অনেক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শেয়ার ডিমেট না হওয়া, বিনিয়োগকারীর ঠিকানা পরিবর্তন, মৃত্যুসহ নানা কারণে অনেক ক্ষেত্রে প্রেরিত মুনাফা ঠিকমতো পৌঁছায় না; ফেরত আসে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে।

এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিনে হাজার হাজার কোটি টাকার অবণ্টিত মুনাফা জমে যায় তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে। যার প্রকৃত মালিক বিনিয়োকারীরা। 

বিএসইসি কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমদ বলেন, হিসাবে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে আসলেই সেটা আছে কি না প্রথমে এটা জানতে চাই। কেন সেগুলো আছে, কেন সেগুলো বন্টন হয়নি, কতদিন ধরে তার কাছে আছে এবং যদি থেকে থাকে তবে সেটা যারা দাবিদার তাদেরকে কাছে পৌঁছে দেয়া যায় কিনা সে বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে।

আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী অথবা অবর্তমানে তাঁর নমিনি বা উত্তরসূরিদের কাছে অবণ্টিত মুনাফা পৌঁছে দিতে চায় বিএসইসি। তবে তা সম্ভব না হলে এই অর্থ বিনিয়োগকারীদের কল্যাণে ব্যবহারের ভাবনাও আছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার। 

বিএসইসি কমিশনার আরও বলেন, যদি প্রকৃত বিনিয়োগকারী ফিরে আসে, সেক্ষেত্রে সেটি আমরা ফিরিয়ে দিতে চাই। যদি না আসে সেই টাকাটির মালিকানা কোম্পানির তাও কিন্তু নয়। সেক্ষেত্রে আমরা সেটাকে যৌক্তিক কোন ব্যবহারে প্রয়োগ করতে চাই। 

এদিকে, দাবিহীন অবণ্টিত মুনাফা পুঁজিবাজারের কল্যাণে ব্যবহার করে থাকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও। দেশটিতে দাবিহীন বা অবণ্টিত মুনাফা সাত বছর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। তারপর তা চলে যায় বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। আর এসব অ্যাকাউন্টে নগদ ও স্টক ডিভিডেন্ড মিলে পাওয়া গেছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার খোঁজ। 

এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি