পুরুষের যেসব গুণে সুখী হয় পরিবার
প্রকাশিত : ১২:১৮, ১৩ জুলাই ২০১৯

রমনীর গুণে যেমন পরিবার সুখী হয়। সেই রমনীর পেছনে যে থাকেন তিনি হলেন পুরুষ। পুরুষই হলেন রমনীর কর্ণধার। তার শক্তিতেই রমনী শক্তিশালী হন। সেই পুরুষের গুণাবলী যত বেশি হবে তার পরিবারও হবে অধিকতর আদর্শ।
এবার দেখে নেই পুরুষের মধ্যে যেসব গুণ থাকা দরকার :
১. পরিবারের দায়িত্ব পালনকে সব সময় ইবাদত মনে করুন।
১. পুরুষ হিসেবে নিজেকে পরিবারের প্রধান দায়িত্বশীল ভাবুন।
৩. স্ত্রীকে বন্ধু, জীবনসঙ্গী ও ঘরের প্রাণ হিসেবে বিবেচনা করুন।
৪. পারিবারিক প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।
৫. স্ত্রীর ভালো কাজ, অবদান ও কৃতিত্বের প্রশংসা করুন।
৬. স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন; ভালবাসা ও অনুরাগ কথা ও আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ করুন।
৭. কর্মস্থল বা বাইরের রাগ-ক্ষোভ ঘরের স্ত্রী, সন্তান বা গৃহকর্মীর ওপর প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন।
৮. নিজের ভুল নিঃসঙ্কোচে স্ত্রীর কাছে স্বীকার করুন। অন্যায় করলে মাফ চেয়ে নিন।
৯. আয় অনুসারে স্ত্রীর প্রয়োজন পূরণ, ছোট-খাটো উপহার প্রদান ও হাত-খরচা প্রদান করুন এবং হাত-খরচা ব্যয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা থেকে বিরত থাকুন।
১০. স্ত্রীর অর্থ ও সম্পদ ব্যয়ে স্ত্রীর স্বাধীনতা হরণ করবেন না।
১১. স্ত্রীর যুক্তিসঙ্গত আবদার পূরণে সচেষ্ট থাকুন।
১২. নিজের আয় সম্পর্কে প্রথম থেকেই স্ত্রীকে সুস্পষ্ট ধারণা দিন ও অবৈধ পন্থায় অর্থোপার্জন করা থেকে বিরত থাকুন।
১৩. পেশাগত বা পারিবারিক সংকট দেখা দিলে স্ত্রীর সঙ্গে তা খোলামেলা আলোচনা করুন।
১৪. আত্মীয়-স্বজনকে উপহার দেয়া বা সাহায্য করার ব্যাপারে স্ত্রীকে অযৌক্তিক বাধা দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
১৫. স্ত্রীর আত্মীয়দের নিয়ে তাকে কথা শোনাবেন না।
১৬. স্ত্রীর মা-বাবাকে নিজের মা-বাবার মতো শ্রদ্ধা করুন।
১৭. ঘরের খুঁটিনাটি ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকুন। ঘরের কাজে সাধ্যমতো সহযোগিতা করুন।
১৮. স্ত্রীর ভুল-ত্রুটি নিয়ে সন্তানদের সামনে ভর্ৎসনা করবেন না।
১৯. অকারণে কোনো বিষয় স্ত্রীর কাছে গোপন করবেন না।
২০. সপ্তাহে একদিন পুরোপুরি স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের নিয়ে কাটান। ঘরের প্রতিটি কাজ- এমনকি রান্না-বান্নায়ও পিকনিকের মতো অংশ নিন। গ্লাসে পানি ঢেলে খাওয়াসহ নিজের ছোটখাটো কাজ নিজে করুন।
২১. স্ত্রীর যে কোনো ভুল-ত্রুটিকে সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করুন এবং রূঢ় ভাষায় সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকুন।
২২. বাইরে কাজ আছে বলে ক্লাবে বা বন্ধুদের সঙ্গে তাস খেলে বা ফালতু আড্ডায় সময় নষ্ট না করে পরিবারের আত্মিক ও মানসিক উন্নতির জন্যে সময় ব্যয় করুন।
২৩. অন্যের কাছে স্ত্রীর বদনাম করবেন না।
২৪. অর্থ অপচয় করবেন না। আবেগপ্রসূত কেনাকাটা পরিহার করুন।
২৫. নিজের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
২৬. স্ত্রীর শারীরিক খোঁজ-খবর নিয়মিত জিজ্ঞেস করুন। অসুস্থ হলে নিজে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
২৭. স্ত্রীর যে কোনো অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কোনো প্রস্তাব বা কথায় প্রথমেই ‘না’ বলা থেকে বিরত থাকুন।
২৮. স্ত্রীকে গৃহকর্মে ও সন্তান পালনে সাধ্যমতো সহযোগিতা করুন।
উপরোক্ত গুণগুলো যে পুরুষের বা স্বামীর মধ্যে থাকবে অবশ্যই সে পরিবার সুখী বা আদর্শ পরিবার হিসেবে বিবেচিত হবে। নিজেদের সময়গুলোও আনন্দে কাটবে। জীবনেও আসবে পরিতৃপ্ত। সন্তান-সন্তুতিও পাবে ভালো একটা পৃথিবী। কারণ ঘর থেকেই পৃথিবীর শুরু।
এএইচ/