পেঁপেই যখন বন্ধু
প্রকাশিত : ১১:৪৬, ২৯ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১১:৪৮, ২৯ মার্চ ২০২২
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অতি পরিচিত ফলের নাম পেঁপে। মিষ্টি স্বাদের সঙ্গে একাধিক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই ফল। ওষধিগুণের জন্য প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদে ব্যবহার হয়েছে পেঁপে। মানবদেহে একাধিক উপকার এতোই বেশি যে পেঁপেকে বন্ধুই বলা যায়।
কাঁচা পেপে মূলত সবজি হিসেবে ব্যবহার করা। বিভিন্ন রান্নার উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। পাকা পেঁপে ব্যবহার হয় ফল হিসেবে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক পেঁপের কী কী ওষধিগুণ রয়েছে-
হলদে-কমলা রঙের এই ফল অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের জন্য বিভিন্ন প্রদাহজনিত সমস্যা ঠেকাতে কার্যকরী পেঁপে।
একাধিক ধরনের ভিটামিন রয়েছে পেঁপেতে। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই রয়েছে এ ফলে। ভিটামিন এ যেমন চোখের জন্য উপকারী। তেমনই এই পুষ্টিগুণের জন্য ধমনীতে কোলেস্টরলের আধিক্যও ঠেকানো যায়।
পেঁপেতে বহু পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার পাচনতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পেট ঠিক রাখতে এর জুড়ি নেই। হজমে সাহায্য করে। পাচনতন্ত্রেই উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পেঁপে সেই কাজেও সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
লাল বা লালচে ধরনের যেকোনও ফলের মতোই পেঁপেও এক বিশেষ ধরনের ক্যারোটেনয়েড যৌগ রয়েছে। যার নাম লাইসোপেন। বেশ কিছু ধরনের ক্যানসার ঠেকাতে লাইসোপেনের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরিতে ভূমিকা রয়েছে পেঁপের। বিটা ক্যারোটিন রয়েছে পেঁপেতে। এই ধরনের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরিতে সাহায্য করে।
পেঁপেতে থাকা বিভিন্ন এনজাইম, ত্বকের এক্সফোলিয়েশনে সাহায্য করে। ত্বকের উপরিভাগে থাকা মৃত কোষ সরাতে, বলিরেখা কমাতেও কার্যকর পেঁপে। এছাড়া, ব্রণ ও ফুসকুড়ি কমাতেও পেঁপে কাজে লাগে।
পেঁপেয় রয়েছে পাপাইন নামের একটি এনজাইম। এটি মাংসের ফাইবার ভাঙতে সাহায্য করে। এই কারণেই মাংস রান্নার আগে নরম করতে পেঁপে দেওয়ার চল রয়েছে।
সূত্রঃ এবিপি আনন্দ
আরএমএ