ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে এনবিআরের নির্দেশনা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৮, ২৬ মে ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৩৯, ২৭ মে ২০১৮

পাঁচটি শর্ত দিয়ে বন্দর থেকে কাঁচামাল খালাসে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।  

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ছাড়করণে কাস্টমস ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) মধ্যে অনেক দিন ধরেই টানাপড়েন চলছিল। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ফ্রি অব কস্ট (এফওসি) পদ্ধতির মাধ্যমে আমদানিকৃত কাঁচামাল খালাসের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানি প্রাপ্যতার নথি যাচাই শুরু করলে বিপত্তির সূত্রপাত হয়। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, এর মাধ্যমে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করে পোশাক রফতানি কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে চিঠি দিল এনবিআর।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এফওসির ভিত্তিতে আমদানিকৃত তৈরি পোশাক শিল্পের যেসব কাঁচামালের চালান অনুমোদিত এক-তৃতীয়াংশ সীমার মধ্যে রয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে ছাড়করণের ব্যবস্থা নিতে হবে। অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত কাঁচামাল ছাড়করণের ক্ষেত্রে বিজিএমইএর প্রত্যয়নপত্র, লিয়েন ব্যাংকের প্রত্যয়নপত্র ও ইউডি কাস্টম হাউজে দাখিল করতে হবে। এসব ডকুমেন্টসহ রফতানি আদেশের কপি যাচাইসাপেক্ষে এফওসির ভিত্তিতে আমদানিকৃত কাঁচামাল ছাড়করণ করা যাবে। তবে এ কাঁচামাল দিয়ে পোশাক প্রস্তুতের পর রফতানি না করলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এফওসির ভিত্তিতে খালাস না হওয়া তৈরি পোশাকের কাঁচামাল ছাড়করণের পর আমদানির চালান খালাসের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধিমালা প্রযোজ্য হবে। বন্ধ অথবা অস্তিত্বহীন তৈরি পোশাক কারখানার ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিশেষ আদেশ কোনোভাবেই প্রযোজ্য হবে না। 

কাস্টমসের তথ্যমতে, এফওসির ভিত্তিতে তৈরি পোশাকের কাঁচামাল আমদানি প্রক্রিয়ার অনিয়ম রোধ করতে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের প্রত্যয়নপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা, তা যাচাই-বাছাই করে তবেই খালাস দেয়া হচ্ছিল। গত ১৯ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশও জারি করা হয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। আদেশ অনুযায়ী, এফওসির মাধ্যমে আমদানিকৃত কাঁচামালের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ আমদানি সুবিধা প্রাপ্য, তার সপক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঠিক প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট বছরের আগের বছরে রফতানি হওয়া পণ্যের এক-তৃতীয়াংশ পণ্য তৈরি করতে যে কাঁচামাল প্রয়োজন, তার বেশি কাঁচামাল খালাস দেয়া যাবে না। আগামপত্রে পণ্যের বর্ণনার সঙ্গে ইউডিতে উল্লিখিত বর্ণনার মিল থাকতে হবে। এফওসির মাধ্যমে কাঁচামাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা অস্তিত্বহীন কিনা, তা যাচাই করতে হবে। এফওসির মাধ্যমে আমদানি করা কাঁচামালের যেসব চালান নোটিং হয়েছে, কিন্তু আগামপত্র দাখিলের তিনদিনের মধ্যে পণ্য খালাসের উদ্যোগ নেয়া হয়নি, সেগুলো প্রয়োজনীয় নথি দাখিলের মাধ্যমে চারদিনের মধ্যে খালাসের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে চিঠি দেয়া হবে। বিষয়টি অবগত করে তখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকেও একটি চিঠি দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার একেএম নুরুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, এফওসির ভিত্তিতে আমদানি করা কাঁচামাল খালাসের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ অনুসরণ করা হচ্ছে। যারা অসাধু ব্যবসায়ী, তারা ছাড়া অন্য কারো এ ব্যবস্থার কারণে হেনস্তা হওয়ার কারণ নেই।  

আরকে/এসি  

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি