প্রকৃতি ও পরিবেশ: বদলে যাচ্ছি আমি...
প্রকাশিত : ২২:২৩, ২৮ মে ২০১৮ | আপডেট: ২১:১৭, ৪ জুন ২০১৮
আমার আজকের শিরোনামের অর্ধেকটা লিখলাম, বাকিটা আপাতত উহ্য রইলো। আপনারা লেখাটা পড়তে থাকুন। সময়মতো বাকি অর্ধেক আপনা থেকেই আপনাদের কাছে এসে ধরা দেবে। ‘বদলে যাচ্ছি আমি’, বলতে আমি কোনো আবেগতাড়িত স্লোগান তুলতে চাচ্ছি না। এ আমার একান্তই নিজের কথা, মনের কথা, অনুভূতির কথা, ব্যক্তিগত কথা। আমার গল্পের সঙ্গে আপনাদের মনের মিল হলে হতেও পারে, নাও হতে পারে। এতে কিছু আসে-যায় না। গল্প তার আপন গতিতে চলবে। চলতে চলতে কোনো এক দুর্বল মহূর্তে আপনাদের হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারে, আবার ব্যর্থও হতে পারে, তবে আমার চলার পথে শেষ পর্যন্ত যদি আপনাদের ধরে রাখতে পারি সেটাই হবে এ লেখার আসল সার্থকতা। এ বার শুরু করা যাক গল্পটি।
উনিশ শ’ পঞ্চাশ দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশের কোনো এক অজপাড়া গাঁয়ে আমার জন্ম হয়েছিল। যদিও সার্টিফিকেটে একটি জন্ম তারিখ লেখা আছে, তথাপি বড় হয়ে বুঝতে পারলাম আরও লাখো বাংলাদেশির মত আমিও আমার জন্মের সন তারিখ ও দিনক্ষণ জানি না। আমার মা-বাবারা যে অশিক্ষিত ছিলেন তা কিন্তু নয়। জন্মের সময় লিখে রেখেছিলেন সবই, তবে কালের আবর্তে খাতাটি হারিয়ে যায়। মায়ের কাছ থেকে শোনা, বাবার এক বন্ধুর ছেলের জন্মের এক সপ্তাহ আগে কোনো এক শুক্রবারে নাকি আমি দুনিয়ার আলো দেখেছিলাম। সেই সূত্র ধরে ইউনিভার্সাল ক্যালেন্ডার ঘাঁটাঘাঁটির পর অনেক কোশেশ করে আমার একটি জন্মতারিখ বের করেছি বটে, কিন্তু এর বিশুদ্ধতায় শতভাগ নিশ্চিত নই বলে সেটা আর আপনাদের কাছে জানান দিচ্ছি না। সঠিক জন্ম তারিখ জানি না বলে আমার মনে কোনো দুঃখ নেই, আফসোস নেই, নেই মা-বাবার ওপর কোনো রাগ-অভিমানও, কিন্তু এ ব্যাপারে বিদেশে জন্ম নিয়ে বড় হওয়া আমার ছেলে মেয়েরা যখন আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে, তখন আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে বুকে জড়িয়ে ধরি আমার প্রাণপ্রিয় সন্তানদের। আত্মতৃপ্তির সঙ্গে তাদের বলি, এমন বাবা কোথায় পাবি, যে তার জন্ম তারিখের বিনিময়ে ছেলে মেয়েদের মুখে ফুটিয়ে তুলে এমন নির্মল হাসি।
ছেলেবেলা আমি চেয়ার-টেবিলে বসে রুটি-মাখন-ডিম-দুধে নাস্তা খাইনি। রান্নাঘরে মাটির মেঝেতে বসে টিনের প্লেটে তৃপ্তির সাথে ডালভাতই খেয়েছি। জুতো-মোজা পরে গাড়িতে চড়ে, কিংবা শহরের পাকা পথে ড্রাইভার অথবা ঘরের কাজের ছেলেমেয়ের হাত ধরে ধরে স্কুলে যাইনি। খালি পায়ে ছাতা মাথায় বই বগলদাবা করে বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে কাদাপানি মাড়িয়ে ৬ মাইল হেঁটে রোজ স্কুলে যাওয়া-আসা করেছি। এ আমার গৌরব নয়, অহঙ্কার নয়, তবে লজ্জাও নয়। এ আমার জীবনের এক বিশেষ অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ। কলেজে যাওয়ার আগে ভাগ্যে এক জোড়া জুতো ও একটা ফুল প্যান্ট জোটেনি। কাঠের খড়ম, বড়জোর দুই ফিতার স্পঞ্জ-স্যান্ডেল, হাফ প্যান্ট এবং লুঙ্গি-পাজামা পরেই কেটেছে পুরো শৈশব ও কৈশোর। এগুলো আমার জীবনের কঠোর বাস্তবতা। ছোটবেলা টানাটানির সংসারে বেড়ে ওঠাটা আমাকে অনেক শক্ত করে গড়ে তুলেছে, জীবন সংগ্রামে বন্ধুর পথে হাঁটাচলার জন্য। ওই দিনগুলোর কথা ও অভিজ্ঞতা পরবর্তীকালে দেশ বিদেশে আমার মনে অনবরত সাহস যুগিয়েছে; জীবনযুদ্ধে আমাকে কখনো পরাজিত হতে দেয়নি। এর ফলে পর্বতপ্রমাণ অসুবিধাকে আমার কাছে অসুবিধা বলে মনে হয়নি। দুনিয়ার তাবৎ ভয়কে সহজেই জয় করতে পেরেছি। শত প্রতিকূলতার পাহাড় ডিঙিয়ে কর্মক্ষেত্রে সফলতার দিকে এগিয়ে গেছি। দারিদ্রের মাঝে জন্মেছি। এ আমার দুর্বলতা নয়, এ আমার শক্তি, চিরদিনের শক্তি!
একটু একটু করে যখন বড় হয়েছি, তখন নিজের চারপাশকে দেখতে শিখেছি, বুঝতে শিখেছি। মা-বাবা-পরিবারের মায়া মমতার গণ্ডি পেরিয়ে আশপাশের মানুষ, প্রকৃতি, পরিবেশ ও পারিপার্শিক তাকে অনুভব করেছি। তখন আবিষ্কার করেছি এক নতুন জগৎ। পৃথিবী আস্তে আস্তে অবগুন্ঠন খুলে ধরা দিয়েছে আমার কাছে। পাশের মানুষগুলোকে দেখেছি, তাদের সাথে ভাবের আদান-প্রদান করেছি। দেখেছি তারা অতি সাধারণ, নিতান্তই গরিব সহজ সরল নিরহঙ্কারী গ্রামের মানুষ। অতিসাধারণ ও সাদামাটা তাদের খাওয়া দাওয়া, কাপড় চোপড় ও চলাফেরা। তাদের মুখে দেখেছি সদাহাসি লেগেই থাকতো, কথাবার্তা আচার আচরণে অভাব অনটনের কোনো আলামত বুঝতে পারতাম না। হয়তো বা ছোট ছিলাম বলে, হয়তো বা অভাবের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যের পার্থক্য না বোঝার কারণে। তাদের বুকভরা মায়া মমতা আর অসীম দরদী মনের ছোঁয়া পেয়ে তাদের মাঝেই আমার বেড়ে ওঠা। দু’চোখ ভরে দেখেছি চারপাশের আলো, হাওয়া, মাটি, পানি, গাছপালা, লতা-গুল্ম, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, ফুলফল, ইত্যাদি। মন ভরে উপভোগ করেছি তাদের রূপ-মাধুর্য। সবই মনে হয়েছে সুন্দর, নির্মল, পরিপাটি, সাজানো গোছানো। সব কিছুকেই মনে হয়েছে মায়ের মতনই আপন, মমতাময়ী। ধরে নিয়েছি তারাও নিজ পরিবারেরই অংশ। মন দিয়ে ভালোবাসতে শিখেছি পরিবেশ, প্রকৃতি ও পারিপার্শিকতাকে।
আরেকটু বড় হওয়ার পর স্কুলে যেতে শুরু করেছি। স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জণবর্ণ শিখেছি, নামতা পড়েছি, ছড়া-কবিতা মুখস্থ করেছি, মনের অজান্তে নিজের মগজে জ্ঞানের ছাপ পড়তে শুরু করেছে। একটু একটু করে নতুন নতুন শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি, জ্ঞান আহরণ করেছি। এতে পেয়েছি অগাধ আনন্দ, উদ্দীপনা আর উৎসাহ! ওই রকম সময় বর্ষা হলে নাওয়ে করে মায়ের সাথে নানার বাড়ি নাইয়র যেতাম - নদী, খাল-বিল, হাওর পেরিয়ে। নানার বাড়ি যাওয়া-আসার পথে খাল-বিলে কোথাও দেখতাম, জেলেরা জাল দিয়ে মাছ ধরছে। কোথাও দেখতাম, মরাগরু পানিতে ভেসে যাচ্ছে আর মৃতদেহের পিঠে বসে চলতে চলতে কাক তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। মাঝির বৈঠার টানে কলকল পানির শব্দ সঙ্গীতের মতন কানে এসে বাজতো। হাকালুকি হাওরে দেখতাম থৈ থৈ পানি ঢেউ খেলছে। বর্ষায় ভরা হাওরের পানিতে ফুল ফোটা হিজল গাছের শুধু উপরের ডাল আর পাতা দেখা যেত। বাকি পুরো গাছ ডুবে থাকতো পানির নিচে। কচুরিপানা দেখতাম চাকা চাকা হয়ে দল বেঁধে কে জানে কোন উজানপুরি থেকে ভেসে ভেসে আসছে। কোন অজানা ঠিকানায় কতদূর যাবে, শত ভেবেও এর কোনো হদিস পেতাম না! কাউকে যে কৌতুহলি প্রশ্নগুলো করব, সে বুদ্ধিটুকুও মাথায় খেলেনি। মাঝে মাঝে দেখা যেত দলছুট বড় বড় দেশি জাতের পাখি। বাবা নৌকো থেকে বন্দুক দিয়ে পাখি শিকার করতেন। না জানিয়ে না শুনিয়ে সারাদিন নাও চড়ে বিকেলে গিয়ে যখন হঠাৎ নানাবাড়ির আঙ্গিনা মাড়িয়ে উঠতাম। সে কী উত্তেজনা! সে কী আনন্দ! ভাষায় প্রকাশ করার মতন শব্দ ভাণ্ডার আমার নেই। এভাবে আত্মীয়স্বজন, বৃহত্তর পরিবেশ ও প্রকৃতির সঙ্গে শুরু হয় আমার জানাশোনার ব্যাপ্তি ও গভীরতা।
আমাদের এক ফুফুর বাড়ি ছিল পাথারিয়া পাহাড়ের গাঁয়ে বড়লেখার মামদনগর গ্রামে। শীতকালে যখন ফুফুর বাড়ি বেড়াতে যেতাম, পাহাড়কে অনেক কাছে থেকে দেখার সুযোগ পেতাম। ফুপা লোক নিয়ে জাল দিয়ে ঝাকা ভর্তি মুনিয়া পাখি ধরে আনতেন, পাথারিয়া পাহাড়ে গিয়ে বন্দুক দিয়ে হরিণ শিকার করতেন। আমরা খুব মজা করে পাখি আর হরিণের গোশ্ত খেতাম। রাত্রি বেলা কাঁচা মুলিবাঁশের ভেতর বনের পাতা (সিলেটি ভাষায় বলে ‘কিত্তাপাতা’) পেঁচিয়ে চাল ভরে পানি ঢেলে খড় দিয়ে উঠোনে আগুন জ্বেলে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী চোঙ্গাপিঠা পোড়া হতো রাতের বেলা। পিঠা পোড়ার দিন সকাল থেকেই বাড়িতে খুশির জোয়ার বয়ে যেত, যার তুলনা চলে কেবলই বিয়েবাড়ি ও ঈদউৎসবের সাথে। তারপর হৈ-হুল্লোড় করে সবাই মিলে গোশ্ত দিয়ে আবার কোনো কোনো সময় ঘন আখের রস দিয়ে গরম গরম পিঠা খেতাম।
আরেক ফুফু থাকতেন আরেকটু দূরে শাহ্বাজপুরের আতুয়ায়। তার বাড়িতে যেতে হতো ট্রেনে চড়ে। ঝমাঝম রেলগাড়ির আওয়াজ আর দোলার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে নিজের মনটাও দুলতো। চলার পথে ইঞ্জিনের ছন্দময় শব্দের সাথে মিলিয়ে দোয়াদুরুদের মত জপতে থাকতাম, ‘দরিয়াত যাইত, পানি খাইত, দরিয়াত যাইত, পানি খাইত’। শব্দগুলো শিখেছিলাম, ক্লাসের ফার্স্টবয় আব্দুল মতিনের কাছে। খুব আনন্দের সাথে লক্ষ করতাম, গাড়ির আওয়াজ শুনে রেলসড়কের দু’পাশে মাঠের গরু-ছাগল পাগলের মত ছোটাছুটি করত। ট্রেনের গতির সাথে পাখিগুলো উড়ে উড়ে যেতো। মনে হতো আমি ট্রেনের কামরায় স্থির বসে আছি, আর গাছপালা, ঘরবাড়ি, মাঠঘাট, গ্রামগুলো ট্রেনের গতিতে এঁকেবেঁকে উল্টোদিকে দূরে সরে সরে যাচ্ছে। আমার জন্য এসব ছিল এক নতুন অনুভূতি, নতুন অভিজ্ঞতা ও ভীষণ রোমাঞ্চকর বিষয়! এভাবেও প্রকৃতিকে দেখতে পেতাম নিবিড়ভাবে, তাকে উপভোগ করতাম গভীরভাবে! ছোটবেলা এরূপ মায়ামমতা ও ভালোবাসার মধ্যে প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে হয় আমার পরিচয়, আমার জানাশোনা। অমি আমার মা-বাবা ভাই-বোনকে যেভাবে দেখেছি, যেভাবে ভালোবেসেছি, আমার চারপাশের পরিবেশ ও প্রকৃতির সাথে সেভাবেই আত্মার সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। হৃদয়ের পরতে পরতে আজও আঁকা রয়েছে ছোটবেলার সেইসব মধুর মধুর স্মৃতিকথা।
বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমরা ভালোবাসার অনেক পরীক্ষা দিয়েছি। আমরা দেশকে ভালোবেসেছি, দেশের মানুষ, সমাজ, সংস্কৃতি ও নিজ নিজ ধর্মবিশ্বাসকে ভালোবেসেছি, মাতৃভাষাকে ভালোবেসেছি, দেশের স্বার্থকে ভালবেসেছি, অনেক ত্যাগতিতিক্ষার বিনিময়ে দেশকে স্বাধীনও করেছি, কিন্তু শুধু একখÐ মাটিই তো আর দেশ নয়। দেশ বলতে আরো অনেক কিছু বোঝায়। দেশের মানুষ, সমাজ, আলো, হাওয়া, প্রকৃতি আর পরিবেশ সব মিলেই তো দেশ। এ সবকিছুকেই মনে হয়েছে মায়ের মতই আপন ও মমতাময়ী। সবকিছুকেই মনে হয়েছে আপন পরিবারেরই অংশ। ছেলেবেলা দেশপ্রেম ও দেশের ভালোবাসা বলতে আমি এটাই বুঝতাম। সেদিনও দেশপ্রেম বলতে এই ছিল আমার ধারণা। তখন আমার অভাব ছিল বেশি, কিন্তু মন ছিল নিষ্পাপ, নিষ্কলুষ, স্বভাব ছিল পবিত্র।
আজ আমি বড় হয়েছি। আমিত্বে আমার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। হয়তোবা আমার পরিচিতি হয়েছে, নামডাকও হয়েছে, আমার ক্ষমতা হয়েছে, অর্থবিত্ত হয়েছে। এখন আমি দ্রুত বদলে যাচ্ছি। এখন আমি শুধু আমাকেই ভালোবাসি, শুধু টাকাকে ভালোবাসি। মুখে বলি শতবার, কিন্তু আসলে দেশকে যেভাবে ভালোবাসা উচিৎ সেভাবে বাসি না, দেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, পারিপার্শিকতার তো প্রশ্নই ওঠে না। আমি তাদের রীতিমত ভুলতে বসেছি। এখন আর তাদের চিনি না, তাদের জন্য মায়া হয় না, তাদের জন্য আমার প্রাণ কাঁদে না। দেশের আলো, হাওয়া পানি, ফুলফল, গাছপালা, লতাপাতা, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, ইত্যাদি কাউকে ভালোবাসি না। ভালোবাসি কেবল টাকা আর টাকা, বাড়ি, গাড়ি, শানশওকত, ক্ষমতার দাপট ইত্যাদিকে। তাই বড় বাড়ি বানাবার জন্য শহরের আশেপাশে যেখানে নদীনালা, খাল-বিল, জলা-পুকুর, হাওর-বাওর দেখি সেখানেই মাটি ফেলি, বালু ফেলি, ভরাট করি, সমতল জমি বানাই, প্লট বানাব, বাড়ি বানাব, বিল্ডিং বানাব বলে। উঁচু উঁচু দালান বানাতে চাই, ফ্ল্যাট বানাতে চাই অসংখ্য। এগুলো বিক্রি করে ঘরে টাকা তুলে আনব বস্তা ভরে। আজ আমি আর সেই আমি নেই! আমি আমার চারপাশের পরিবেশকে আগের মতন আর ভালোবাসি না। পরিবেশ এখন আমার শত্রু। তার সাথে আমি রীতিমত যুদ্ধে রত। তাকে কেটেছিঁড়ে ধ্বংস করতে আমার বিবেকে একটুও আর বাধে না। আমি একদিকে বুলডোজার দিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করছি আর অন্যদিকে তরতর করে স্ফীত হয়ে উঠছে আমার ব্যাংক-ব্যালেন্স। আমি মেতে উঠেছি এক উন্মত্ত খেলায়, পাশবিক উন্মাদনায়! এর শেষ কোথায়, কেউ জানে না, আমিও জানি না। সমাজ, সরকার, রাষ্ট্র - এসব প্রতিষ্ঠান ঠায় দাঁড়িয়ে আছে! তারা মা’সুম, তারা গাফেল! অবশেষে বলতে ইচ্ছে করে, বদলে যাচ্ছি আমি। না! বদলে গেছি আমি - ভালোবাসি শুধু টাকা, মাটি, আর জমি। আপনাদের প্রতি এবার একটি প্রশ্ন, বলুন তো, কে এই ‘আমি’?
লেখক: আবু এন. এম. ওয়াহিদ; অধ্যাপক - টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি
কেআই/ এসএইচ/
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।