ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য ও বাংলাদেশ

মো: রিয়াদুল আহসান নিপু

প্রকাশিত : ১৫:১৪, ১২ জুন ২০২০ | আপডেট: ২০:২০, ১২ জুন ২০২০

৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, সরকার, পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এবারো পৃথিবীজুড়ে পালিত হয়েছে দিবসটি। যদিও কোভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল Biodiversity বা জীববৈচিত্র্য। বিশ্বে ক্রমাগত জীববৈচিত্র্য ধ্বংস প্রতিরোধ করার জন্য ২০১০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১১-২০২০ সময়কে জীববৈচিত্র্য দশক হিসেবে ঘোষণা করে।

বিখ্যাত ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে ২০১১ সালে প্রকাশিত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রায় ৮.৭ মিলিয়ন বা ৮৭ লক্ষেরও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে- স্থলজ জীবের ৮৬% এবং পানিতে বসবাসকারী ৯১% জীব এখনো বিজ্ঞানীদের নামকরণ ও শ্রেণীভুক্ত করাই বাকি!

আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে অর্থাৎ মাটি, পানি, বায়ুসহ অন্যান্য উদ্ভিদ ও প্রাণী নিয়েই আমাদের পরিবেশ। এই পরিবেশের সাথে মানুষের রয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক। আমরা বুক ভরে যে নি:শ্বাস নিই,  আমাদের খাদ্য ও জীবন ধারনের জন্য অপরিহার্য পানি সবই আসে প্রকৃতি থেকে। আসলে মানুষ প্রকৃতি ও জীব জগত পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। এই প্রকৃতির কোন একটি উপাদানের ধ্বংস অথবা সামান্য অসামঞ্জস্যতাও সামগ্রিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে।

বিগত শতাব্দী ও সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের জন্য ভারসাম্য হারিয়েছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। আশংকাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে জীববৈচিত্র্য। বহু প্রাণী পৃথিবীর বুক থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এভাবে চললে আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমাদের চেনা-জানা প্রাণীদের ২৫ ভাগই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অথচ এই জীববৈচিত্র্য খাদ্য নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সকল স্থলজ ও জলজ জীবের টিকে থাকার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু পরিবেশ দুষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, বনভূমির বিনাশ, আগ্রাসী কৃষিকাজ, ব্যাপক নগরায়ন, বিভিন্ন জীবের বাসস্থান ধ্বংস ও বিচরনস্থলের সংকোচনের ফলে প্রকৃতি আজ ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন।

অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল, ভারত-পাকিস্থান ও পুর্ব আফ্রিকায় পঙ্গপাল-এর উপদ্রবকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে মনে করার কারণ নেই। এগুলো প্রকৃতির উপর দীর্ঘদিনের অত্যাচারের ফল বলেই বিবেচনা করা যায়।

২০১৯ সাল ছিল অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রখর উত্তাপের এক বছর। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি। সেখানে সংঘটিত স্মরণকালের ভয়াবহ দাবানলে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন বিভিন্ন প্রকারের স্তন্যপায়ী, পাখি ও সরিসৃপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুড়ে যায় বহু পুরোনো বৃক্ষ যা বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে কাজ করত। হয়তো চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে সেখানকার অনেক প্রাণী।

বাংলাদেশ পৃথিবীর বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপ নয়। পরিবেশগত বিপর্জয়ের হাত থেকে আমরাও নিরাপদ নই। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইল আয়তন হলেও জনসংখ্যায় পৃথিবীর ৮ম বৃহত্তম দেশ আমরা। আয়তনে ছোট হলেও বাংলাদেশের রয়েছে সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পৃথিবীর সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী অন্যতম দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সম্পদের অতিরিক্ত আহরণ, পরিবেশ দূষণ, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপসহ নানা কারণে বারবার ঝুঁকির মুখে পড়েছে আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।

জীববৈচিত্রের সাথে বনভূমির রয়েছে গভীর সম্পর্ক। স্থলজ জীববৈচিত্রের ৮০ ভাগের উৎস হলো বন। বাংলাদেশে ২০১৬ সালের বন জরিপ অনুযায়ী, দেশের মোট গেজেটভুক্ত বনভূমির পরিমাণ দেশের আয়তনের প্রায় ১২ শতাংশ। তবে এর প্রকৃত পরিমাণ নিশ্চিতভাবেই আরো কম হবে। এই জরিপ অনুযায়ী, দেশের ৩৫ জেলায় সরকারি বনভূমি রয়েছে। এককভাবে সুন্দরবন দেশের সবচেয়ে বড় একক বনভূমি। এটি আমাদের জাতীয় বন। এছাড়া চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বৃহত্তর সিলেট, গাজীপুর ও টাংগাইলের বনভূমি উল্লেখযোগ্য।

বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৬০০০ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। বনভূমির বিনাশ এবং একে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতেই জীববৈচিত্র্য হ্রাসের অন্যতম কারণ। ২০২০-এর মে মাসে বিশ্ব কৃষিসংস্থা FAO-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত এক দশকে নানা পদক্ষেপের কারণে বন ধ্বংসের পরিমাণ কমলেও এখনো পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি হেক্টর বনভূমিকে ধ্বংস করে কৃষি জমিতে রুপান্তরসহ অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থাও (UNEP) বনভূমি ধ্বংসকে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য হ্রাসের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। 

পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ থেকে প্রকাশিত বিশ্বের বনভূমি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৩ লাখ ৭৮ হাজার একর বনভূমি উজাড় হয়েছে, যা দেশের মোট বনভূমির প্রায় ৮ শতাংশ। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। 

বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের অন্যতম নিদর্শন হলো আমাদের জলাভূমিসমুহ। বাংলাদেশকে বলা হয় জলাভূমির দেশ। পৃথিবী বিখ্যাত সুন্দরবন ও টাংগুয়ার হাওর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দুটি জলাভূমি (রামসার সাইট)। টাংগুয়ার হাওরে ২০৮ প্রজাতির পাখি, ১৫০ প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ, ১৫০ প্রজাতির মাছ, ৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১১ প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে। প্রতিবছর শীতকালে প্রায় ২০০ প্রজাতির অতিথি পাখির আগমণ ঘটে হাওরটিতে। 

আর সুন্দরবন শুধু সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের অপূর্ব নিদর্শনই নয়, অতি সম্প্রতি আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আম্পান থেকে শুরু করে সিডর, আয়লাসহ বহু ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে। সুন্দরবন সৃষ্টিকর্তার তরফ হতে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ রহমত বললেও বোধহয় ভুল বলা হবে না। 

সম্প্রতি সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ-এর চাহিদা মেটাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে। সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজি ব্যবহারের কথা বলা হলেও এটি যাতে কোনভাবেই সুন্দরবনের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

হাজার মাইল অতিক্রম করে বিপুল পরিমাণ পরিজায়ী পাখির (অতিথিপাখি) আগমনও বাংলার জীববৈচিত্র্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সাড়ে ছয় শতাধিক পাখির মাঝে জলচর পাখিই বেশি। জলাভূমির পাখির ১০ শতাংশ স্থানীয়, বাকি ৯০ শতাংশই অতিথি পাখি। এর মাঝে রয়েছে ২৮ প্রজাতির হাঁস এবং ১৮ প্রজাতির গাঙচিল। 

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকে বর্তমান সরকার শুধু গুরুত্বই দেয়নি দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। বাংলাদেশের সংবিধান-এর ১৮(ক) অনুচ্ছেদে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে- "রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য,  জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।" 
এছাড়াও পরিবেশ সংরক্ষণে অসংখ্য আইন প্রনয়ন করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে জাতীয় উদ্যান, সাফারি পার্ক, অভয়ারণ্য। এমনকি পরিবেশ আদালত পর্যন্ত রয়েছে। যা দেশের পরিবেশবাদী মানুষের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ব্যাপার।

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কেবল রাষ্ট্র নয়, প্রতিটি নাগরিককেই এটি হ্রদয় দিয়ে অনুধাবন করতে হবে। কিন্ত সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় প্রকৃতি ও জীবের প্রতি আমাদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে, আদৌ আমরা মানবিক কিনা!

গত ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ দিবসের ঠিক আগেই ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আহত ২০০ শামুকখোল পাখিকে জবাই করে খেয়েছে নাটোরের বড়াই গ্রামের বাজিত পুরের গ্রামবাসী (সূত্র: প্রথমআলো)। গত ৫ মে মাদারীপুরে বিষ মিশিয়ে বানর হত্যা,  চট্টগ্রামের মিরসরাই-এ পাহাড় কেটে ও বন উজাড় করে রাস্তা নির্মাণ, যশোরে গাছ কেটে পার্ক বানানোর উদ্যোগ, নওগাঁয় প্রায় ১০ হাজার আমগাছ কেটে নেয়া, ময়মনসিংহের ত্রিশালে বিষ প্রয়োগে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন, অবাধে কৃষিজমির মাটি বিক্রির খবর আমাদের আন্তরিকতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। এমনকি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যখন পাহাড় কাটায় জরিমানা দেয় এবং দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লকডাউনের মধ্যে গাছ কেটে ফেলা হয়, তখন প্রকৃতির প্রতি আমাদের চরম অবহেলা আর উদাসীনতাই ফুটে ওঠে।

তবে অনেক আশাব্যঞ্জক খবরও রয়েছে। সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে বহু ইটের ভাটাসহ দূষণকারী বিভিন্ন প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে দৈনিক এক লাখ পিস পরিবেশ বান্ধব সোনালী ব্যাগ উৎপাদনের কার্যক্রম চালু করেছে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি)। ময়মনসিংহ বিভাগকে দেশের প্রথম পলিথিনমুক্ত বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অগ্রগতিও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার পেছনে অবিরাম ছুটতে গিয়ে ক্লান্ত মানুষ প্রকৃতিকেই ভুলে গিয়েছিল। ভূলে গিয়েছিল সে প্রকৃতিরই অংশ। বর্তমান কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক আমাদের প্রকৃতির প্রতি উদাসীনতা ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কুফলের কথাই মনে করিয়ে দেয়। UNEP-এর তথ্য মতে, ৭৫ ভাগেরও বেশি সংক্রামক ব্যাধিই হচ্ছে জুনটিক (zoonotic) অর্থাৎ অন্য প্রাণী হতে মানুষে সংক্রমিত। বিভিন্ন দেশে লকডাউনের কারণে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই কমে গেছে। প্রকৃতি এখন অনেকটাই নির্মল। বহুদিন পর কক্সবাজার সৈকতে ফিরে এসেছে ডলফিন! তাই এবার প্রকৃতির দিকে ফিরে তাকানোর সময়। UNEP তাই বলছে,  It's time for nature!

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তার একাধিক বক্তব্যে বৃক্ষরোপণসহ পরিবেশ সংরক্ষণের কথা বলেছেন। আগামী বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে। সেই মাহেন্দ্র ক্ষণের আগে অচিরেই কোভিড-১৯ এর কালো মেঘ কেটে যাক। তাই আসুন, আমরা প্রকৃতির উপর অত্যাচার বন্ধ করি। মাস্ক পরে নয়! আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মুক্ত বিহঙ্গের মতো নির্মল প্রকৃতিতে বুক ভরে নিতে পারে বিশুদ্ধ বাতাস, এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।

লেখক- মৃত্তিকা পানিও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, ঢাবি ও পরিবেশ বিষয়ক লেখক। 

এনএস/


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি