ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

প্রচণ্ড গরমে থাকুন স্বাভাবিক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৪, ২৫ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৭:০৪, ২৬ মে ২০১৭

প্রচণ্ড গরমে  অস্থির হয়ে উঠেছে জীবনযাত্রা। তাপমাত্রা অত্যধিক বাড়ার কারণে শরীর থেকে অধিক পরিমাণে ঘাম নিঃসৃত হচ্ছে। যে কারণে অস্বস্তির মাত্রাও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শরীরের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পোষাক পরিচ্ছদে কিছুটা পরিবর্তন ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া এসময় অনাকাঙ্ক্ষিত রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে খাবার-দাবারেও কিছুটা পরিবর্তন জরুরি। আসুন জেনে নেই এই গরমে সঠিক পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য রক্ষায় যেসব বিষয়ে সচেতন হ্ওয়া দরকার-

১. সাবধানতা অবলম্বন করা:

বাইরের খোলা জায়গার পানি, শরবত, বরফ মেশানো আখের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকা। খোলা স্থানের খাবার গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া, আমাশয় সহ নানান রোগে আক্রান্ত করে। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। সাথে আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু ঝুঁকিও থাকে।

২.গরমে প্রধানত নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ পানি পান করা। বাড়িতে তৈরি করা লেবুর শরবত, পানি জাতীয় শাকসবজি ও ফল বেশি খাওয়া।

৩. গরমে ডাব, তরমুজ, বাঙ্গি, বেলের শরবত এগুলো হাত ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে খাবারের জন্য উপযোগী করা প্রয়োজন।

৪.গরমে  হালকা খানার খা্ওয়া মাছ, মাংস, ভুনা, ভাজি, খিচুড়ি, পোলাও কমিয়ে পাতলা আম ডাল, পাতলা দুধ, টকদই, করলার বোল তরকারি,  শরবত, সালাদ, রসালো ফল খাওয়া যেতে পারে।

৩. গরমে সাদা ভাত; পোলাও, বিরানি, খিচুড়ি পরটা থেকে অনেক বেশি উপকারী।

৪. যারা নিয়মিত হাঁটেন, তারা শুধু সময় পরিবর্তন করলেই চলবে। যেমন সকালে না হেঁটে বিকাল/সন্ধ্যার পর হাঁটা আরামদায়ক।

৫. গরমে খুব বেশি হাঁটা, ব্যায়াম, অত্যধিক পরিশ্রম, অত্যাধিক খাদ্য গ্রহণ পরিহার করা।

৭. খাবারে মশলার ব্যবহার কমিয়ে হালকা খাবার গ্রহণ করা । অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত খাবারের মশলা দেহের জন্য সহনীয়। অতিরিক্ত মশলাদার যেকোনো খাবারই দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং বিপাক ক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

৮. যেকোনো মাংস, তা সে যতই স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হোক না কেন- গরমকালের জন্য সঠিক খাবার নয়। বিশেষ করে তন্দুরি, মশলাদার মাংস তো এ সময়ে স্বাস্থ্যকর নয়ই। এমনকি মাছ, তা সে পুষ্টিতে ভরপুর সামুদ্রিক মাছ হলেও যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। কারণ আমিষ জাতীয় এই খাবারগুলো দেহকে উত্তপ্ত করে, ফলে ঘাম বেশি হয় এবং খাবার হজমে সমস্যা হয়। এ সময় ডায়েরিয়ায় ভোগারও অন্যতম কারণ হলো মাছ-মাংস।

৯. মাংসভর্তি বার্গার- তা সে যতো নামী ব্র্যান্ডের দোকান থেকেই কেনা হোক না কেন, এমনকি ঘরে তৈরি তেলে ভাজা-পোড়া জাতীয় যেকোনো নাশতা থেকেও গরমে শতহাত দূরে থাকতে হবে।

১০. চা বা কফি জাতীয় পানীয় দেহে তাপ বাড়ায়। তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই উত্তম। চা ও কফির ক্যাফেইন এবং দোকানের অতিরিক্ত চিনিযুক্ত কেনা পানীয় দেহে পানি শ্যূন্যতা বাড়ায় এবং মুখ ফ্যাকাশে করে ফেলে।

১১. যেকোনো ধরনের সস দিয়ে তৈরি খাবার কিংবা শুধু সসও এ সময়ে খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে, পনিরের সস পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। সসের সাথে দেহে প্রবেশ করে প্রায় সাড়ে তিনশ’ ক্যালরি এবং এর ফলে আপনার দেহে ক্লান্তি আসবে, শরীর ভার ভার মনে হবে। কিছু সসে অতিরিক্ত মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট এবং লবণ থাকে। তাই সস ব্যবহার না করে খাবার যতোটা সম্ভব পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক রাখুন।

গরমে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ করা উচিত। নিজেকে সদা সতেজ ও উজ্জ্বল দেখাতে চাইলে এবং দেহে ঝরঝরে অনুভূতি চাইলে ক্ষতিকর খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন এবং সুস্থ থাকতে সবুজ সবজি খান।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি