ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

প্রতিম না হলে ‘আহা রে মন’ নিয়ে ভাবতাম 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২৭, ১২ জুন ২০১৮

বৃষ্টির কলকাতা। শহুরে হোটেলে তখন জমাটি আসর। সৌজন্যে ‘আহা রে মন।’ প্রতিম ডি গুপ্ত তাঁর আসন্ন এই ছবির ক্যানভাসে সাত রঙা মনের ছবি এঁকেছেন। তার এক ‘মন’ অর্থাত্ পাওলি দাম তখন সোফায় আরাম করে বসে। নিছকই আড্ডার মেজাজ। তবুও পেশার তাগিদে রেকর্ডার অন থাকল।

প্রতিম ইজ আ ফ্রেন্ড 

পাওলির সঙ্গে এটা প্রতিমের তিন নম্বর ছবি। ‘মাছের ঝোল’, ‘মির্চি মালিনী’র পর ‘আহা রে মন।’ পাওলির কথায়, ‘‘মোর দ্যান আ ডিরেক্টর, প্রতিম ইজ আ ফ্রেন্ড। প্রত্যেকটা ছবিতেই আলাদা আলাদা চরিত্র দেয় আমাকে। প্রত্যেকটা আলাদা জনার। যাকে কাস্ট করবে, তাকে ভেবে ও লেখে।’’

পরিচালকের লেখার ফ্যান নায়িকা

প্রতিম যখন পাওলিকে ‘মাছের ঝোল’ অফার করেছিলেন তার আগে প্রতিমের অন্য একটি ছবি ‘সাহেব বিবি গোলাম’ দেখেন পাওলি। ভাল লাগে তাঁর। তার পর ‘মাছের ঝোল’-এর স্ক্রিপ্টটা খুব ইউনিক লেগেছিল। তাঁর মনে হয়েছিল, রিয়ালিস্টিক, হয়তো প্রত্যেক ফ্যামিলিতেই ‘মাছের ঝোল’-এর শ্রীলা (পাওলির চরিত্রের নাম)কে দেখা যাবে। তিনি শেয়ার করলেন, ‘‘যদিও স্ক্রিন স্পেস খুব কম ছিল। কিন্তু যাঁরা দেখেছেন, সবাই ভাল বলেছিলেন। তার পর থেকে ওর লেখার ফ্যান হয়ে গেলাম।’’

অচেনা মন

এই ছবিতে পাওলি ‘অচেনা মন’। তাঁর চরিত্রের নাম রমনা চট্টোপাধ্যায়। একটি কোম্পানির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। ইন্ডিপেনডেন্ট ওয়ার্কিং লেডি। যাঁর নিজস্ব লাইক-ডিজলাইক আছে। বাকিদের থেকে চিন্তাভাবনার দিক থেকে একটু আলাদা। প্রোগ্রেসিভ। পাওলির চোখে রমনা ‘ফ্রিকুয়েন্ট ফ্লায়ার।’ ‘‘প্রতিম আমাকে এমন চরিত্রই দেয়। আমার ভাল লাগে করতে’’ হেসে বললেন নায়িকা।

সাত মনের ভিড়ে হারিয়ে যাবেন না?

‘আহা রে মন’-এ অনেক চরিত্র। অনেক মনের গল্প। তার ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার ভয় হয়নি? পাওলি দাবি করলেন, অনেক কাস্ট রয়েছে এমন ছবি তিনি আগেও করেছেন। ‘বেডরুম’-এ। কিন্তু তার পর অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন নায়িকা। অনেক পরিণত হয়েছেন। ফলে এখন তো একাই অনেকটা স্ক্রিন স্পেস পাওয়ার যোগ্য তিনি। তা হলে? এখনও মুখে সেই সিগনেচার হাসি নিয়েই পাওলি বললেন, ‘‘ঠিকই। তবে ও ভাবে ভাবিনি। আমি ছবিটা করেছি একমাত্র প্রতিমের লেখার জন্য। ও বলে এই ‘আহা রে মন’ সেলিব্রেশন অফ গুড অ্যাক্টিং। ওর গুড অ্যাক্টরদের লিস্টে তো আমি রয়েছি। হা হা। অন্য কোনও পরিচালক হলে হয়তো ভেবে দেখতাম। বাট নট ফর প্রতিম। ও আমাকে ভাল চরিত্র অফার করে। আমার মনে হয় সেটা দর্শকদের মনে কোথাও থেকে যাবে।’’

সঙ্গী যখন আদিল হুসেন

আদিল হুসেনের সঙ্গে এই প্রথম অনস্ক্রিন পাওলিকে দেখবেন দর্শক। তবে আদিলের সঙ্গে এর আগে শৈবাল মিত্র এবং লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘মাটি’ ছবির শুটিং করেছেন তিনি। ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ‘আহা রে মন’-এর শুটিং পরে হলেও মুক্তি পেতে চলেছে আগে। এই ছবিতে নাকি আদিলের থেকে অনেক কিছু শিখেছেন পাওলি। তাঁর কথায়, ‘‘আদিলের সঙ্গে কাজের এক্সপিরিয়েন্স ফ্যান্টাসটিক। ও তো প্রফেসর, অভিনয় পড়ায়। অনেক কিছু শিখেছি ওর থেকে। এত ভাল মানুষ। একদিকে আদিল, একদিকে প্রতিম, এত কুল ওরা। ফলে চরিত্রটা করার সময় কোনও প্রেশার ফিল করিনি। দুদিকে দু’জন স্ট্রং পিলার ছিলেন।’’

বর অভিনয় দেখেন?

খুব চেনা লাজুক কনের হাসিটা খেলে গেল পাওলির মুখে। ‘‘অর্জুন (পাওলির বর) বাংলা ছবি খুব একটা যে দেখে এমন নয়। ওভারঅল দেখার সময়ও খুব কম পায়। ‘নাটকের মতো’ দেখেছে। ‘মির্চি মালিনী’ও দেখেছে। ভাল লেগেছিল’’ বললেন সদ্য বিবাহিতা।

ফ্রিকুয়েন্ট ফ্লায়ার

বিয়ের পর ‘আহা রে মন’-এ রমনার মতোই নাকি ‘ফ্রিকুয়েন্ট ফ্লায়ার’ হয়ে গিয়েছেন পাওলি। কলকাতায় কাজ, গুয়াহাটির সংসার সামলাচ্ছেন দক্ষ হাতে। অভিনেত্রী শেয়ার করলেন, ‘‘ডিফিকাল্ট হচ্ছে। তবে কাজ ভালবাসি, নিজের বাড়িও ভালবাসি। ফলে ব্যালেন্স তো হয়েই যায়। আসলে ভালবাসার মানুষের প্রতি ব্যালেন্স এসেই যায়।’’

বিয়ে কি বদলে দিল পাওলিকে?

পাওলি নিজেও বিয়ের পরের বদলটা মেনে নিলেন। তাঁর দাবি, ‘‘রেসপন্সিবিলিটি বেড়েছে, যেটা আমাকে অনেক ম্যাচিওর করছে। তবে বাচ্চামোটা যায়নি। কিন্তু সেটা হুট করে সবার সামনে আর বেরোয় না। আমি এখন খুব প্যাম্পার্ড। বিশেষ করে বাবা-মার কাছে। ফ্যামিলি এক্সটেন্ড করেছে। এই ফেজটা এনজয় করছি।’’

‘আহা রে মন’, ‘মাটি’, ‘কণ্ঠ’— পর পর ছবি রিলিজ করবে নায়িকার। এর মধ্যেই প্রতিমের নির্দেশনায় ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘ইঙ্ক’ নামের আরও একটি ছবি শুটিং শেষ। হাত ভর্তি কাজ, সঙ্গে সংসার। দু’ই ক্রিজেই চালিয়ে খেলছেন পাওলি দাম।

এসি 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি