প্রথমবারের মতো গোপনাঙ্গ প্রতিস্থাপনে সফলতা
প্রকাশিত : ১১:৩৯, ২৪ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১১:৫৫, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের একদল চিকিৎসক পুরুষের যৌনাঙ্গ সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। মেরিল্যান্ডের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শল্যবিদরা এ অস্ত্রোপচার করেন। দেশটির এক সেনা সদস্যের যৌনাঙ্গ স্থাপনের মধ্য দিয়ে এ সফলতা পান চিকিৎসকরা।
জানা যায়, আফগানিস্তানে একটি বোমা হামলায় মার্কিন সেনার যৌনাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তা কেটে ফেলে দিতে হয়। এরপরই এক মৃত ব্যক্তির দান করা যৌনাঙ্গ ওই সেনার শরীরে প্রতিস্থাপনের কাজে মনোযোগ দেন চিকিৎসকরা। এতে ওই সেনার শরীরে যৌনাঙ্গ ও অণ্ডকোষের থলে সঠিকভাবে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হন তারা।
চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, ওই সেনা এখন থেকে তার লিঙ্গের সব ধরণের সক্ষমতা দেখাতে পারবেন। তবে এর আগে এ ধরণের আর কোনো প্রতিস্থাপন হয়নি বলেও তারা দাবি করেন।
গত ২৬ মার্চ ১৪ ঘণ্টা ধরে চলা এই অস্ত্রোপচারে ১১ চিকিৎসক অংশ নেন। লিঙ্গের চারপাশের এলাকা ও অণ্ডকোষের থলেসহ এটাই বিশ্বের প্রথম কোনো লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের ঘটনা বলে জানিয়েছেন তারা। তবে নৈতিক বিবেচনায় ওই ব্যক্তির অণ্ডকোষ প্রতিস্থাপন করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।
২০১৪ সালে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আঘাতের পর ঘনিষ্ঠতা’ শিরোনামে একটি সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়। ওইসময় আঘাতপ্রাপ্ত দম্পত্তিদের অনেকেই তাদের যৌন সম্পর্ক নিয়ে অসন্তুষের কথা জানান। আর তাদের এ অক্ষমতার বিষয়টি তাদের সামাজিক পরিচয়, আত্ম মর্যাদা এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
এদিকে ওই সেনার পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিবৃতিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সেনা বলেন, আমি এখন জীবনকে উপভোগ করছি। মেডিকেলের পরিভাষায় এ ধরণের অস্ত্রোপচারকে ভ্যাসকিউলাইরাজই কম্পোজিট অ্যালোট্রান্সপ্লানটেশান বলে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের হাড়, চামড়া, পেশী, শিরা প্রতিস্থাপন করা হয়।
চিকিৎসকরা আরও জানায়, ‘ওই সেনা পুরোপুরিভাবে সুস্থ হতে আরও ৬ থেকে ১২ মাস সময় লাগবে। চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. রিক ডেডেট বলেন, ওই সেনা দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠছেন। এই সপ্তাহেই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে যাচ্ছেন। আশা করা যাচ্ছে, তিনি দ্রুতই যৌন ক্ষমতা ফিরে পাবেন এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন করবেন। তার এই সফল অস্ত্রপচারের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে এই ধরণের অস্ত্রপচারের জন্য সবাই আরও উৎসাহী হবে। তবে ২০১৪ সালে বিশ্বের প্রথম যৌনাঙ্গ প্রতিস্থাপন হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। তবে ওই অস্ত্রোপচারের ফলে যৌন ক্ষমতা ফিরে পায়নি তারা।
সূত্র: বিবিসি
এমজে/