প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গাজীপুরে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৫, ১৯ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৪:৪৫, ১৯ মার্চ ২০১৯
অগ্নিঝরা মার্চের এই দিনে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হয়েছিল গাজীপুরে। এরপরই প্রতিরোধের আগুন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। পাকসেনাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গাজীপুরের শ্রমিক-ছাত্র-জনতা। শহীদের সেই রক্তাক্ত স্মৃতি আজও অমলিন। নির্মিত হয় মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’।
জয়দেবপুরের ভাওয়াল রাজবাড়িতেই ছিলো ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। সেনানিবাসের অধিনায়ক ছিলেন লেফটেনেন্ট কর্ণেল মাসুদুল হক খান। উত্তাল মার্চের শুরু থেকেই অসহযোগ আন্দোলন আর ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর ভাবিয়ে তোলে পাকিস্তানিদের।
কৌশলে বাঙালি সেনাদের নিরস্ত্র করতে অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় ঢাকা ব্রিগেড সদরদপ্তর। পাকিস্তানিদের মতলব বুঝতে পেরে বাঙালি সেনারা ছাত্র-শ্রমিক-জনতাকে সাথে জয়দেবপুর অবরোধ করে রাখে। ব্রিগেডিয়ার জাহানজাবের দল ১৯ শে মার্চ গাজীপুর রেলক্রসিংয়ের কাছে মুক্তিকামী বাঙালির ওপর গুলি চালায়। তাদেরকে প্রতিহত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সর্বস্তরের মানুষ।
জয়দেবপুর রেলগেট, চান্দনা চৌরাস্তাসহ আরও ক’টি স্থানে সশস্ত্র যুদ্ধে শহীদ হন হুরমত, নিয়ামত, কানু মিয়া, মনু খলিফা। বাঙালির প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের স্মৃতি অমলিন রাখতে ১৯৭৩ সালে নির্মিত হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য জাগ্রত চৌরঙ্গী।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মবলিদানের ঘটনা সেদিন ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের সবখানে। পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল জনতা।
প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের দিনটিকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতির দাবি বিশিষ্টজনদের।
বিস্তারিত দেখতে ভিডিওতে ক্লিক করুন :
এসএ/