প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অপেক্ষায় আন্দোলনকারীরা
প্রকাশিত : ২০:৩২, ১২ এপ্রিল ২০১৮
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটার সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের অপেক্ষায় আছেন টানা চার দিন ধরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের প্ল্যাটফরম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বলেছে, কোন কোটা কত শতাংশ কমানো হবে- সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসা না পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।
এক প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান জানান, তাঁরা কোটা তুলে দেওয়া হোক চাননি, সংস্কার চেয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি ঘোষণা চেয়েছেন তিনি। রাশেদ খান বলেন, ‘কোটা থাকবে না, তা আমরা চাই না। আমরা সংস্কার চাই। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। কোটার দরকার আছে। সবার কথা বিবেচনা করে সেটার একটি সহনীয় পর্যায়ে সংস্কার চাই।’ তিনি আরও বলেন, কোটার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি বক্তব্য চান তাঁরা।
পরিষদের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদও বলেন, কোটা সংস্কারের যে পাঁচ দফা দাবি করা হয়েছে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা চান তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীকে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে এ বিষয়ে। এ আন্দোলনে যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সুচিকিৎসারও দাবি জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরির সব কোটা তুলে দিচ্ছেন এবং সন্ধ্যায় সংসদে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে বলে ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষ থেকে ফেইসবুকে বার্তা দেওয়া হলেও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অবস্থান চলছে।
আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, আমরা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগের স্ট্যাটাস দেখেছি। অন্য কারও মুখ থেকে নয়, প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট ও সরাসরি সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াব না।
/ এআর /
আরও পড়ুন