ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য আবেদন করবেন কীভাবে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪২, ৯ জুলাই ২০২৩

বেসরকারি/সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একটি গুরুত্বপূর্ণ বৃত্তি হলো 'প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ'। এই বৃত্তি পেতে হলে প্রত্যেক আবেদনকারীকে আগে নিজ যোগ্যতায় বিশ্বের ১০০ র‍্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে থাকা যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হয়। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) আওতায় এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয়।

সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস ও বিসিএস নয় এবং বেসরকারি প্রার্থী—এই তিন ভাগে বৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বৃত্তি পাওয়া বহু ফেলো বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।

এ বছরও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট উচ্চশিক্ষায় ফেলোশিপ দেওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করেছিলো। 

বাংলাদেশের নাগরিক, যারা এর আগে বিদেশে কোনো মাস্টার্স বা পিএইচডি করেননি, তারাই ফেলোশিপের আওতায় মাস্টার্স বা পিএইচডির জন্য আবেদন করতে পারেন। 

এর মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরি স্থায়ী হলে এবং চাকরিতে প্রবেশের পর সরকারি সুবিধার আওতায় কোনো মাস্টার্স বা পিএইচডি করেননি, শুধু তারাই আবেদন করতে পারেন এ ফেলোশিপের জন্য। 

আবেদনকারীকে প্রত্যাশিত ডিগ্রির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিঃশর্ত অ্যাডমিশন অফার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হয়। 

এই ফেলোশিপের আওতায় যেসব বিষয়ে অধ্যয়ন/গবেষণা করা যায়:

সোশ্যাল প্রটেকশন

এডুকেশন

উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট

পাবলিক হেলথ

ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট

পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি

ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকস

পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট

লিগ্যাল অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ

এনভায়রমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ

ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি

ডিপ্লোম্যাসি

অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি

অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের আর্থিক সুবিধা

১. সম্পূর্ণ টিউশন ফি

২. নির্ধারিত হারে মাস্টার্সের জন্য সর্বোচ্চ ১৮ মাস এবং পিএইচডির জন্য সর্বোচ্চ ৪৮ মাসের জীবনধারণ ভাতা

৩. নির্ধারিত হারে স্বাস্থ্যবিমা ভাতা

৪. এককালীন সংস্থাপন ভাতা

৫. এককালীন শিক্ষা উপকরণ ভাতা

৬. তৃতীয় দেশে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ ব্যয়

টোফেল ও আইইএলটিএস স্কোর কত
আবেদনের শেষ তারিখ পর্যন্ত টোফেল ও আইইএলটিএসের (একাডেমি) কার্যকর মেয়াদ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইইএলটিএসে ৬ দশমিক ৫ আর টোফেলে ন্যূনতম ৮০ ও পিটিই একাডেমিকের ক্ষেত্রে মোট স্কোর হতে হবে ৫৯। এর কম স্কোর পাওয়া প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না।

আবেদনপদ্ধতি
আবেদনকারীকে ফেলোশিপের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এলিজিবিলিটি টেস্টে অংশ নিতে হয়। এ টেস্টে উত্তীর্ণ হলেই আবেদনকারী ফেলোশিপের ওয়েবসাইটে নিজের একটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ও মুঠোফোন নম্বর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আবেদনকারী তাঁর আবেদন তৈরি করতে ও জমা দিতে পারবেন। আবেদন জমা দিলেও সংশোধনের সুযোগ আছে। চাইলে একাধিকবার আবেদন সংশোধন করা যাবে। আবেদন জমা দেওয়ার পরই ই-মেইল ও মুঠোফোনে নিশ্চয়তাসূচক একটি বার্তা পাবেন আবেদনকারী। আবেদনের আইডি নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে।

আবেদন আইডি নম্বরটি আবেদনপত্র ট্র্যাকিং ও ফেলোশিপ-সংক্রান্ত পরবর্তী যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। অনলাইনে আবেদন সাবমিটের পর ওই আবেদনপত্রের প্রিন্ট করে নিতে হবে। এই প্রিন্ট কপি আবেদনের হার্ডকপি হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে আবেদনের হার্ডকপি পাঠানোর প্রয়োজন নেই।

এসবি/ 
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি