ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আলোচনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৯:৪৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার জনাব শামসুল হক টুকু এম.পি। এতে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। 

সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধায় এর সভাপত্বিতে আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রফেসর হারুন অর রশিদ, প্রফেসর আব্দুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নিজামুল হক ভুইয়া, সাবেক তথ্য কমিশনার প্রফেসর সাদেকা হালিম, ড. উত্তম বড়ুয়া, ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক বিমান বড়ুয়া, জেষ্ঠ্য সাংবাদিক শরীফ সাহাবউদ্দীন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মাহবুববুর রহমান বাবু, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম। সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এর সঞ্চালনায় আলোয়নায় সকল বক্তাগণ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও দীর্ঘায়ূ কামনা করেন।   

বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু জননেত্রী নন তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দেশের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও বিশ^নেতা হিসেবে অসামান্য গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক হারুন অর রশিদ জাতির পিতার সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার শৈশবের স্মৃতি তুলে ধরেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজের লেখা উদ্ধৃত করে অধ্যাপক হারুন উল্লেখ করেন কিভাবে শেখ হাসিনা সময় নিজের পরীক্ষা ফেলে ১৯৬৬ সনের ৬ দফা আন্দোলনের ভ‚মিকা রেখেছেন।  তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না তেমনি ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল না ধরতেন তা হলে আজকের উন্নয়নশীল বাংলাদেশ হওয়া সম্ভব হতো না।   

আলোচনার প্রধান বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান জননেত্রী শেখ হাসিনার ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার স্মৃতিচারন করেন। তিনি বর্ননা করেন, ১৭ মে বেদনার সাগর পাড়ি দিয়ে লক্ষ জনতার গগণবিদারী শ্লোগানের মাঝে দেশের মাটিতে পা রেখে শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমার অবস্থা যদি আমার বাবারমতও হয় তারপরেও আমি জনগণের জন্য সংগ্রাম করে যাব সেবা করে যাব।’’ যে কথার সঠিক বাস্তবায়ন আজকের উন্নয়শীল বাংলাদেশ থেকে উন্নত বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারেক রহমান লন্ডনে একটি বক্তৃতায় বলেছেন ৭৫ এর পরাজিত শক্তি আজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারেক রহমানের কথার উল্লেখ করে প্রধানবক্তা দৃঢ়কন্ঠে বলেন, তারেকের বক্তব্যেও মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেছে যে, তার পিতাই বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল ক্রিড়নক ছিলেন। তিনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবী করেন। ‘পদ্মা সেতু চাই না, দেশে গনতন্ত্র চাই’ বলে বিএনপির দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন,
আপনারা যেমন বিএনপি যেমন পদ্মা সেতু চায় না। জনগনও বিএনপির লাঠিসোটা ও জ্বালাও পোড়াও এর গণতন্ত্র চায় না।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুটু এম.পি বক্তব্যেও শুরুতেই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠন সম্প্রীতি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামটা শুনলেই বোঝা যায় আমাদের কি করণীয়। বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে তিনি একটি অসাম্প্রদায়িক পরিবার হিসেবে অভিহিত করেন। শেখ হাসিনাকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে জানতে হবে। জননেত্রীর মাদকমুক্ত দেশ গড়ার প্রেরণা নিয়ে মনানীয় ডেপুটি স্পিকার তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় গ্রামীন খেলাধূলা ও নৌকা বাইচের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করে থাকেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা যদি দেশে না আসত তাহলে আওয়ামী লীগ হয়ত থাকতো তবে শেখ হাসিনার মত সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়ার থাকত না। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়ত সম্ভব হতো না।   

সভাপতির বক্তব্যে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন কিভাবে তিমির হননের নেত্রী হয়ে উঠলেন তা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুমিই বাংলাদেশ। একই ভাবে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, তুমিই আমাদের আধুনিক বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, সম্প্রীতির বাংলাদেশ।

এসময় শিক্ষক, ডাক্তার, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, ছাত্রনেতাসহ আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি