প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
প্রকাশিত : ১০:২৬, ১৭ মে ২০১৬ | আপডেট: ১০:২৬, ১৭ মে ২০১৬
আজ ১৭ই মে, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রায় ছয় বছর পর ১৯৮১ সালের এইদিনে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। প্রবল ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিমানবন্দর থেকে রাস্তায় লাখো জনতার অভ্যর্থনার মাঝেও স্বজনহারা বঙ্গবন্ধু কন্যার কান্নায় আবেগাপ্লুত হন নেতা-কর্মীরাও। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মনে করেন, শেখ হাসিনার বেশে সেদিন বঙ্গবন্ধুই দেশে এসেছিলেন।
একদল বিপথগামী সেনাসদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হত্যা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শিশুপুত্র রাসেল, শেখ জামাল, শেখ কামাল, দুই পুত্রবধুসহ শেখ হাসিনার কাছের প্রায় সব স্বজনকে।
বিদেশে থাকায় বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা এবং ছোট মেয়ে শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। ভারতে যখন শেখ হাসিনা ছোট দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে কষ্টের দিনাতিপাত, দেশে তখন জেল-জুলুমে পর্যুদস্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দল টেকানোর সংগ্রাম করছেন।
ক্ষমতাসীনদের দলভাঙ্গার ষড়যন্ত্রের মাঝে দল-উপদলে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতেই ১৯৮১ ফেব্রুয়ারীতে বঙ্গবন্ধুকন্যার অনুপস্থিতিতে দলের কাউন্সিলে তাকে সভাপতি করা হয় সর্বসম্মতক্রমে। পরে দলের এগারো সদস্য দিল্লি গিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে রাজি করালে, তিন মাস পর দেশে ফেরেন তিনি।
তোফায়েল আমমেদ, ষাটের দশকের তোখড় ছাত্রনেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তার কাছে প্রশ্ন ছিলো, তাদের মত নেতা থাকতে কেন শেখ হাসিনাকে আনা জরুরী ছিলো?
বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেশে ফেরানোর উদ্যোক্তাদের একজন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু সেই উদ্যোগের ফল দেখেন পরবর্তীতে শেখ হাসিনার সাফল্যে।
আশির দশকের কমিউনিস্ট নেতা নূহ আলম লেলিন নব্বয়ের দশকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার পর বর্তমানে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার মূল্যায়নে আসে তিনটি বিষয়।
তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের সবাই স্বীকার করেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের কবল থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনা থেকে শুরু করে বড় কোন অর্জনই সম্ভব হতো না, যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে ফিরে দলের হাল না ধরতেন।
আরও পড়ুন