প্রবাসীদের এনআইডির বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে
প্রকাশিত : ১৫:০৪, ১১ অক্টোবর ২০২০
প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে, এর জন্য বিদেশে টিম পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক। এদিকে, গেলো নভেম্বর থেকে পরিচয়পত্রের জন্য অনলাইনে আবেদন জমা পড়েছে সাতশ’র বেশি। এর মধ্যে সংযুক্ত আবর আমিরাত থেকেই এসেছে ৫শ’ ৩০টি আবেদন।
অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী, শিক্ষা কিংবা উন্নত জীবনযাপন- বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশীরা। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য মতে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের ১৬৮টি দেশে কাজ করছে বাংলাদেশের কর্মীরা।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনেকেরই নেই জাতীয় পরিচয়পত্র। বিদেশে বসেই যাতে প্রবাসীরা জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং পরিচয়পত্র পায় সে জন্য গেলো বছরের নভেম্বরে অনলাইন পোর্টাল চালু করে নির্বাচন কমিশন।
এনআইডি ডিজি জানান, অনলাইনে ভোটার করার কার্যক্রম হাতে নেয়ার পরপরই শুরু হয় করোনা মহামারী। এ পর্যন্ত মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাজ্য থেকে সাতশ’র বেশি প্রবাসী অনলাইনে আবেদন করেছেন।
এনআইডি ডিজি ব্রি. জে. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩০টি আবেদন এসেছে, সে আবেদনগুলো আমরা আঞ্চলিক অফিসগুলোতে পাঠাচ্ছি।
প্রবাসীদের আবেদন যাচাই-বাছাই চললেও করোনার কারণে দূতাবাসের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক নেয়ার কাজ থেমে আছে।
এনআইডি ডিজি বলেন, গ্রাউন্ড প্রিপারেশন, ভেরিফিকেশনগুলো আমরা করছি। ইতিমধ্যে অনেকগুলো ভেরিফাই হয়ে এসেছে, অনেকগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনেকগুলোর ডকুমেন্টস ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের পিতামাতা, স্থাবর-অস্থাবর ঠিকানাগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। তারজন্য আমাদের টিম করে যাচ্ছে। বিদেশে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে টিম পাঠানোর প্রস্তুতি আমাদের আছে কিন্তু করোনার পরিস্থিতির কারণে অনেক দেশের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে প্রবাসীদের এনআইডি ফি নেয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান ডিজি।
ব্রি. জে. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম আরও বলেন, এ বিষয়ে সার্বিকভাবে নির্দেশনা প্রদান করবেন কমিশন।
এএইচ/ এসএ/
আরও পড়ুন