প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে জাবির আল বেরুনী হলের অফিসে তালা
প্রকাশিত : ১৮:৪৭, ৪ অক্টোবর ২০১৮
‘ছাত্রী উত্যক্ত’র ঘটনার জেরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার হলের প্রভোস্ট অফিসে গেলে তাকে তার কক্ষে ঢুকতে দেয়নি শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি জানায়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ‘উত্যক্ত করা’কে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার মধ্য রাতে আল-বেরুনী হলে হামলা চালায় মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। হামলা শুরু হলে হলের ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আল-বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনকে বিষয়টি জানানো হয়। তবে তিনি সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পরে ঘটনাস্থলে আসেন। এমনকি আহত শিক্ষার্থীদের কোন খোঁজ-খবর নেননি। হামলার ঘটনার পর প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ঘটনা স্থলে আসলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে ওই রাতেই উত্তেজিত নেতাকর্মীরা হলের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এছাড়াও হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোন ধরনের যোগাযোগ রাখেন না। এছাড়াও হল সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এজন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও আল-বেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র আবু সাদাত সায়েম বলেন, ‘আমরা শুধু প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতেই হল অফিস তালাবদ্ধ করেছি। হল প্রভোস্ট তার দায়িত্বে উদাসীন ও ব্যর্থ। হলে হামলার ঘটনা জানানোর পরেও তিনি কোন সাড়া দেননি। ঘটনা ঘটার পর তিনি মেডিকেলে আসেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্র সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে তিনি বরাবরই উদাসীন। তাই তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অফিস তালাবদ্ধ করে রাখবো।’
অভিযোগ অস্বীকার করে আল বেরুনী হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন বলেন, ‘হলের সব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য সর্বদা চেষ্টা করি। হলের সব সংকট নিরসনে সবসময় কাজ করি। এছাড়া আল বেরুনী হলে হামলার কারণে একটি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপ ছাড়া এ সংকটের কোন সমাধান সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে এক ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মীর মশাররফ হোসন হল ও আল বেরুনী হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ ঘটনায় আল বেরুনী হলের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
এসএইচ/
আরও পড়ুন