ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় চীন ও ইন্দোনেশিয়ার সমঝোতা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৫, ২০ জানুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ২১:৫২, ২১ জানুয়ারি ২০২১

প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও ইন্টারনেট নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে চীন ও ইন্দোনেশিয়া একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। প্রথমবারের মতো চীন ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ে অন্য একটি দেশের সাথে এ ধরণের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র ইন্দোনেশিয়া সফরকালে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়্। সম্প্রতি চীনের পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। এই চুক্তিটি সাইবার নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার বিকাশে যৌথ সহযোগিতার ফ্রেমওয়ার্ক হিসেবে কাজ করবে। 

ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সাইবার অ্যান্ড ক্রিপ্টো এজেন্সি এবং চীনের সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি অনুযায়ী, দেশ দু’টি সাইবার পরিসরের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে এবং বহুপাক্ষিক, গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গভর্নেন্স সিস্টেম, ডেটা সিকিউরিটি তৈরিতে একসঙ্গে কাজ করবে; একইসঙ্গে সুষ্ঠু, সুরক্ষিত, উন্মুক্ত, সহযোগিতাপূর্ণ, দায়িত্বশীল, সাইবারস্পেস ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবকাঠমোগত বিকাশেও কাজ করবে।  আর ইন্দোনেশিয়ার ফাইভজি অবকাঠামোকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করবে হুয়াওয়ে। 

এ নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সাইবার রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস সিকিউরিটি রিসার্চ সেন্টার (সিআইএসএসইসি) এর সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ প্রাতামা পারসাধা বলেন, ইন্টারনেট নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিখাতে ইন্দোনেশিয়া ও চীনের মধ্যকার সহযোগিতার বিষয়টি একটি সঠিক পদক্ষেপ। এছাড়াও, বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফাইভজি নেটওয়ার্কের বিকাশে বর্তমানে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে চীন।  

এ নিয়ে আইটি বিশেষজ্ঞ ওন্নো ডব্লিউ পূর্ব বলেন, চীনের সাথে ইন্দোনেশিয়ার এই সহযোগিতার বিষয়টি কোন সমস্যা সৃষ্টি করবে না; এক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীন। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা একসাথে কাজ করতে পারি, তবে এক্ষেত্রে আমরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও চীনসহ অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভরশীল নই। স্বাধীনভাবে নিজস্ব প্রযুক্তি তৈরির চেষ্টা করছি আমরা।’ 

এ খাতের অন্যান্য বিশেষজ্ঞগণ একই ধরণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাঁরাও বলছেন, এ চুক্তিটি ইন্টারনেট নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতাকে জোরদার করবে; বিশেষ করে, টেলিকম খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি। এবং তথ্য চুরির বিষয়টি রোধ করবে। 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ইন্দোনেশিয়া। দেশটির জিডিপি ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এর মত। এই পদক্ষেপটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের ওপরও প্রভাব ফেলবে। এই চুক্তিটি অর্থনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 
   
আরকে//
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি