প্রাণের মেলায় দোলা লাগবে আজ
প্রকাশিত : ০৮:৫৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৩:২১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আজ শুক্রবার ঢল নামবে লেখক, পাঠক ও বই প্রেমীদের। আর এ ঢল মেলার শেষ দিন পর্যন্ত অভ্যাহত থাকবে, এমনটাই আশা লেখক ও প্রকাশকদের।
আজ শুক্রবার, কাল শনিবার, পরশু সরস্বতী পূজা। এর দু’দিন পর পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস। এর পর আবারও শুক্র ও শনিবার। তারপর আসছে ২১শে ফেব্রুয়ারি। সব মিলিয়ে জমজমাট ও উৎসবমুখর দিনগুলো সামনে অপেক্ষা করছে। তাই জমিয়ে বিক্রি হবে বই- এ প্রত্যাশায় বুক বাঁধছেন প্রকাশকরা।
আজ মেলায় বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর। আর মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, মেলার প্রথম সপ্তাহে নতুন ৮৩২টি বই এসেছে। প্রকাশে এগিয়ে আছে কবিতা। এখন পর্যন্ত ২১৪টি কবিতার বই এসেছে। উপন্যাসের বই প্রকাশ পেয়েছে ১৫০টি এবং গল্পগ্রন্থ ১২৮টি।
এ ছাড়া প্রবন্ধ ৪৭, গবেষণা ১৫, ছড়া ২৪, শিশুসাহিত্য ২৩, জীবনী ২৩, রচনাবলি চার, মুক্তিযুদ্ধ ৩০, নাটক আট, বিজ্ঞান ১৭, ভ্রমণ ২৩, ইতিহাস ১৮, রাজনীতি ছয়, স্বাস্থ্য ছয়, রম্য/ধাঁধা আট, ধর্মীয় চার, অনুবাদ তিন, সায়েন্স ফিকশন ১৬ এবং অন্য বিষয়ের ওপর এসেছে ৬৫টি নতুন বই।
এবারের গ্রন্থমেলার প্রথম সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। এতে মেলা নিয়ে কথা বলেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী ও মেলার সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।
এ সময় হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘এ মেলা সবার মেলা। যাতে ভালো বই প্রকাশ পায়, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। যা নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করবে।’
মেলার আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মেলার জন্য একটি স্থায়ী মাঠের প্রয়োজন। যেটি হলে মেলাকে আরও সুন্দর করে আয়োজন করা সম্ভব।’
এদিকে, ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাবে বাংলা একাডেমি ২৫ লাখ ৩১ হাজার ১৭ টাকার বই বিক্রি করেছে। গতবার এ সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৮৬১ টাকা। সে হিসাবে সাত লাখ টাকার বই বেশি বিক্রি হয়েছে।
মেলার বিক্রি ও পাঠক সমাগম প্রসঙ্গে কথা হয় নন্দিতা প্রকাশের প্রকাশক বি ভি রঞ্জনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এতো দিন মেলা গুছিয়ে নিতেই কেটে গেছে। তবে আজ থেকে বিক্রি শুরু হবে। আশা রাখি এই ধারা অব্যাহত থাকবে শেষ দিন পর্যন্ত।’
একই সঙ্গে কথা হয় তরুণ লেখক আব্দুল্লাহ আল ইমরানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর প্রাণের এই মেলায় লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের মিলন মেলা ঘটে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হবে না। এবছর আমার একটি উপন্যাস প্রকাশ পেয়েছে। নাম ‘হৃদয়ের দক্ষিণ দুয়ার’। বইটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদি। কারণ এর মধ্যে রয়েছে জীবন ও বোধের গল্প। পাঠক এই বইতে নিজেকে খুঁজে পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেলা জমবে আজ থেকে। কারণ আগামী দিনগুলো টানা উৎসবের দিন। এসময়টার অপেক্ষাতেই থাকেন প্রকাশকরা। এবারও তার ব্যাতিক্রম হবে না।’
এসএ/