ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্রাণ কেড়ে নেয় যে বাদ্যযন্ত্র  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩০, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

সুর মানুষের মনে শিহরণ সৃষ্টি করে, মনে  শান্তি এনে দেয়। প্রাত্যহিক চাপ কাটাতে গান অথবা বাদ্যযন্ত্র  শোনার অভ্যাস আছে অনেকের। কিন্তু এই বাদ্যযন্ত্র অনেক সময় জীবনের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তেমন এক বাদ্য যন্ত্রের নাম গ্লাস হারমোনিকা। মূলত, কাঁচের গ্লাসের কেরামতিতে তৈরি বাদ্যযন্ত্রটি নাকি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

যন্ত্রটি  তৈরির পর সাজানো জলভর্তি ওয়াইন গ্লাস দিয়ে। সুরের সামান্য ভুলে সবকটি গ্লাসই পড়ে ভেঙে যাবে। ১৭৬১ সালে সুরের এই মেকানিকাল  ভার্সন তৈরি করেন ফ্রাঙ্কলিন। ইতালীয় শব্দ আরমোনিয়া  অর্থ হারমোনি। তাই সুরযন্ত্রকে গ্লাস হারমোনিকাও বলেন। হারমোনিকার সুরে মেতে ওঠে গোটা বিশ্ব। আর তারপরই বেরিয়ে আসে তার ভয়াবহ রূপ।

যাঁরা এই বাদ্যযন্ত্রটি নিয়মিত শোনেন তাঁদের মধ্যে নাকি নানা রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে শুরু করে। নার্ভ, চোখ, মাথার অসহ্য যন্ত্রণার মতো ভয়াবহ সমস্যা তো বটেই এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। গ্লাস হারমোনিকার যারা নিয়মিত বাদকরা ও শ্রোতারা ঠিক এমন অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। ১৭৯৯ সালে চিকিৎসক অ্যান্টনি উইলিচ এই বাদ্যযন্ত্র নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

মস্তিষ্কের বিশেষ অংশকে অতি সক্রিয় করে তোলে এর সুর। ঘুমভাব, হ্যালুসিনেশন, প্যারালিসি এমনকি মৃত্যুর ঘটতে পারে বেশি শুনলে। বেশ কিছু মনস্তত্ত্ববিদ দাবি করেন, আত্মহত্যার মানসিকতা জাগিয়ে তোলে এই বাদ্যযন্ত্র।

১৮০৮ সালে ভিয়েনায় একটা কনসার্টে গ্লাস হারমোনিকা বাজাতে গিয়ে মঞ্চেই মৃত্যু হয় মারিয়ানা কির্চজেসনার নামে এক মিউজিসিয়ানের। মারিয়ানা জন্মান্ধ ছিলেন। ছোট থেকে মিউজিকই ছিল তাঁর সবকিছু। তৎকালীন সমালোচকরা মারিয়ানার মৃত্যুর জন্য ফ্রাঙ্কলিনের গ্লাস হারমোনিকাকে দায়ী করতে শুরু করেন।

সুত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন

কেআই/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি