প্রেমের টানে মোংলায় আসা ভারতীয় যুবকের অশ্রুসিগ্ধ বিদায়
প্রকাশিত : ১৫:৪৯, ১৫ আগস্ট ২০২৩
প্রেম মানে না দূরত্ব, মানে না জাত-কূল। এমনই প্রেমের টানে ভারতীয় যুবক তাপস বিশ্বাস এলেন বাগেরহাটের মোংলায়। রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে টানা এক সপ্তাহ প্রেমিকার খোঁজে ঘুরেছেন পথে পথে। প্রেমিকার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে অশ্রুসিগ্ধ বিদায় নিলেন এ যুবক।
চরম হতাশা আর প্রতারণার অভিযোগ তুলে চোখের পানিতে বুক ভিজিয়ে ফিরে গেলেন স্বদেশের পথে।
ভারতের বর্ধমান জেলার মেমারী থানার বাসিন্দা তাপস বিশ্বাস (২৯)। তিনি পেশায় জর্জ আদালতের আইনজীবীর সহকারী। তিন ভাইয়ের মধ্যে সেই বড়। তার বাবা দুলাল বিশ্বাস পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বছর খানেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার পরিচয় হয় বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মাকোডোন গ্রামের তরুণী হ্যাপীর সঙ্গে। জড়িয়ে পড়েন গভীর প্রেমে।
পরিবারের সকলের সঙ্গে আলাপচারিতা হতো ওই তরুণীর। পরিবারের বেশ সখ্যতা হয়ে উঠে তার। পুরো পরিবার তার আবেগ আচরণে আফ্লুত ছিল। নতুন গহনাসহ পূত্রবধূকে বরণ করতে নেয়া হয়েছিল বিয়ের সকল প্রস্তুতি। আর এ বিষয় জানান দেওয়া হয়েছিল আত্মীয় স্বজন ও পাড়াপড়শিদের।
তাই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে প্রেমিকার খোঁজে তাপস বিশ্বাস ছুটে আসেন বাংলাদেশে।
গত ৯ আগস্ট সীমান্ত পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছান খুলনায়। সেখান থেকে মোংলায় এসে পথে পথে খুঁজে বেড়ান প্রেমিকাকে। ঠিকানা পেলেও তার সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানায় কথিত প্রেমিকা। আর এতে মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন ভীনদেশী এ যুবক।
পৌর শহরের বাসিন্দা ওই তরুণীর খোঁজে টানা কয়েকদিন দিন ঘুরেছেন আশপাশে। শেষ পর্যন্ত ধর্ণ দিয়েছেন একটি মানবাধিকার সংগঠনের কাছে। তাতেও সফল হয়নি।
প্রেমিকার দেখা না পেয়ে ভারতীয় যুবক তাপস এক সপ্তাহ পর চরম হতাশা ও গ্লানি নিয়ে পাড়ি দেন স্বদেশের পথে। এ সময় আবেগ আপ্লুত ওই যুবক কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার সংগঠন (আসক) মোংলার সভানেত্রী সুমি লিলা বলেন, প্রেমের টানে ভারত থেকে মোংলা আসা ওই যুবক তাদের সংগঠনের এসেছিলেন। তার দাবি ছিল, একনজর কথিত প্রেমিকাকে দেখার। এ জন্য সে বেশ কান্নাকাটিও করে। সামাজিক ও পারিপার্শিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদের সাক্ষাতের চেষ্টাও করে ব্যর্থ হয়েছি।
এ বিষয় বাগেরহাট জেলা পরিষদের সদস্য (মোংলা) আব্দুল জলিল শিকদার বলেন, ভারতীয় যুবক তাপস বিশ্বাস বিভিন্ন মাধ্যমে তার কাছে গিয়েছিল। কিন্তু তার কথিম প্রেমিকা তাকে অস্বীকার করে। পরে সে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে বলে শুনেছি।
এএইচ
আরও পড়ুন