প্রয়োজনে সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন ভাঙতে চান মেয়র আতিক
প্রকাশিত : ১৮:১১, ২৬ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীতে অবৈধ দখল ও ক্ষমতার জোরে সেতু ভবন ও বিআরটিএ ভবন তৈরি হয়েছে জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম শহরের সৌন্দর্য্য ও যানজটে নিরসনে প্রয়োজনে ভবন দুটি ভাঙার পক্ষে মত দিয়েছেন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানের লেকশোর হোটেলে সিইউএস, ইউএন-হ্যাবিট্যাট, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প আয়োজিত 'নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসন ও নাগরিক সুবিধাসমূহ: প্রেক্ষিত ঢাকা' শিরোনামে 'নগর কথা' অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র আতিক বলেন, “জনগণ বা নগরের জন্য যদি সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন ভাঙতে হয়, তাহলে আমি ভাঙার পক্ষে আছি। কেননা, শহরের বনাঞ্চলের জন্য বরাদ্দ করা জায়গা ছিল এটি। অবৈধ দখল ও ক্ষমতার জোরে আজ সেখানে সেতু ভবন ও বিআরটিএ ভবন নির্মাণ হয়েছে। প্রয়োজনে শহরের সৌন্দর্য্য ও যানজট নিরসনে সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন ভাঙতে হবে।
“এসব কাজে অনেক বিরোধিতা আসবে। কিন্তু বিরোধিতা যদি দশের স্বার্থে হয় তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। যদি নিজের স্বার্থে হয় তাহলে আমি নেই।”
আতিকুল বলেন, “ঢাকা শহরে আমাদের ক্যাপাবিলিটি ও ক্যাপাসিটি আছে কিনা সেটা দেখতে হবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সুন্দর নগর করতে গেলে আমাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। কি পরিমাণ আবাসন ঢাকা শহরে উপযোগী, তা নির্ধারণ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “প্রচুর খাল অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। তাই খালের জমিও সিএস দাগ দেখে উদ্ধার করতে হবে। ঢাকা শহরকে বাঁচাতে গেলে, খালকে বাঁচাতে গেলে, আমাদের সিএস দাগ উদ্ধার করতে হবে।
“প্যারিস রোডে অবস্থিত পার্কের ৬ বিঘা জায়গায় ৩২ টি প্লট বরাদ্দ কারা দিলেন? যেখানে বাচ্চাদের খেলার জায়গা ছিল, সেখানে খেলার জায়গা দখল করে প্লট নির্মাণ করা হলো তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কী শিখবে? তারা খেলবে কোথায়?”
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দিন দিন উষ্ণতা বাড়ছে- এ বিষয়ে মেয়র বলেন, “পানির নাব্যতা কমে আসছে। তাই আমাদের রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং করতে হবে। আমি চাই সবাই ছাদ বাগানে এগিয়ে আসুক। ছাদ বাগান করে কেউ যদি উষ্ণতা কমিয়ে আনে তাদের পুরস্কৃত করতে হবে।”
যানজট নিরসনে মিরপুর ১০ নম্বরের হকারদের উচ্ছেদ নিয়ে তিনি বলেন, “সপ্তাহে ৪ দিন প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা হকাররা বসবে। এমন নিয়ম করা হয়েছে। বাকি সময়টাতে তারা শিক্ষকতা, বাসার কাজ, কেউ পার্টটাইম কাজ করছে। এতে অনেকাংশে যানজট নিরসন হয়েছে।”
এএইচএস
আরও পড়ুন