ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্লাস্টিকের কৌটায় খাবার বাড়াচ্ছে বিপদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০১, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

হোটেল-রেস্তরাঁ থেকে প্লাস্টিকের কৌটায় বাড়িতে অথবা অফিসে আসছে বিরিয়ানি থেকে চাউমিন, মাটন চাঁপ থেকে চিকেন কাবাব। সঙ্গে প্লাস্টিকের চামচ অথবা কাঁটা চামচ। পাড়ার দোকানে বা বাজারে যেখানে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার না করা নিয়ে জোরদার সচেতনতার প্রচার চলছে, সেখানে হোম ডেলিভারিতে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ছোট-বড় এই প্লাস্টিকের কৌটা। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে রীতিমতো ক্ষতিকারক বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পরিবেশকর্মী থেকে শুরু করে ফুড টেকনোলজির বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক উৎপল রায় চৌধুরী জানাচ্ছেন, সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ প্লাস্টিকের কৌটা যাতে খাবার নিয়ে যাওয়া হয়, তা আদৌ উপযুক্ত নয়। তার কথায়, ‘খাবারের মধ্যে যে ফ্যাট জাতীয় পদার্থ রয়েছে অথবা খাবারে রং আনার জন্য যে মশলা বা শস দেওয়া হয়, সেগুলো প্লাস্টিকের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে এবং খাবারের গুণগত মানের পরিবর্তন ঘটায়। যা অনেক সময়েই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।’

শুধু খাবারের মান পরিবর্তনই নয়। দূষণের জন্যেও প্লাস্টিকের এই খাবারের কৌটাকে দায়ী করছেন পরিবেশকর্মীরা। বিশিষ্ট পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘হোম ডেলিভারিতে আনা এই সব প্লাস্টিকের কৌটা বাড়িতে অন্য খাবার রাখার কাজেও ব্যবহার করা হয়। যা একেবারেই উচিত নয়। ওই কৌটা বহুবার ব্যবহারের পরে যেখানে সেখানে ফেলে দিলে পরিবেশও দূষিত হয়।’ আর এক পরিবেশকর্মী নব দত্তের অভিযোগ, ‘প্লাস্টিকের গুণগত মান কী হবে, তা দেখার কোনও পরিকাঠামো শহরে নেই। এমনকি, হোম ডেলিভারিতে যে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকের চামচ- কাঁটা চামচের ব্যবহার হচ্ছে, তাও পরিবেশের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।’

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি