প্লেনে চড়ে পেঁয়াজ আসছে মঙ্গলবার
প্রকাশিত : ১৩:২৬, ১৬ নভেম্বর ২০১৯
বিদেশ থেকে উড়োজাহাজে করে দেশে পেঁয়াজ আনছের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে মিসর থেকে কার্গো বিমান যোগে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালান আসার সুখবর দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগামী মঙ্গলবার সেই পেঁয়াজ ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টিসিবি'র মাধ্যমে সরাসরি তুরস্ক থেকে, এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এ পেঁয়াজ আনছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপ বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করছে। এটি তার প্রথম চালান। পর্যায়ক্রমে অন্য আমদানিকারকদের আমদানি করা পেঁয়াজ কার্গো উড়োজাহাজ যোগে ঢাকায় পৌঁছাবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। এতে বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ মেট্রিক টন। আর উৎপাদন হয় ১৭ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের মত। উৎপাদিত এ পেঁয়াজের ৩০ শতাংশ আবার সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। তাতে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আমদানি করতে হয় ৭ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন। স্বল্প দূরত্ব আর সহজলভ্যতার কারণে আমদানির বেশিরভাগটা ভারত থেকেই হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে এই উৎপাদনের হার প্রায় ১০ লাখ ৯২ হাজার টন। ভারত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে। যার একটি বড় অংশ এসেছে বাংলাদেশে।
এর আগে ২০১৭ সালের শেষ দিকেও একবার ভারত নিজেদের বাজার সামাল দিতে নূন্যতম রপ্তানিমূল্য ৪৩০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ ডলার করেছিল। তখন খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন করা হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৯ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর ভারত থেকে আমদানি করা হয় চাহিদার বাকি অংশ। আর আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজই দর উঠা নামায় বড় ভূমিকা রাখে।
এমএস/
আরও পড়ুন