ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি
পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির ব্যবস্থা আছে
প্রকাশিত : ১৪:৩৭, ২৩ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৩৭, ২৩ মে ২০১৯
বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং আইএফআইএল ও অস্ট্রেলিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল- এর পরিচালক লিয়াকত হোসেন মোগল সম্প্রতি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি কয়েকটি হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়নকল্পে বিবিধ পদক্ষেপ বিষয়ে জানালেন তিনি। এর চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হল।
বিশ্ববিদ্যালয়টি কখন প্রতিষ্ঠিত হয়?
ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৩ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য
স্বল্প-ব্যয়ে মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার ব্রত নিয়ে একদল শিক্ষানুরাগী শিল্পপতি, শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ২০০৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দক্ষ জনসম্পদ, দেশপ্রেমিক ও যোগ্যতাসম্পন্ন নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন পেয়ে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই উচ্চশিক্ষার গুণগতমান সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য নিয়মিত ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উপযুক্ত মানসম্পন্ন ও দক্ষ শিক্ষক, বাস্তবমুখী শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
উচ্চশিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় কী কী অবদান রেখেছে?
উচ্চশিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার গ্রাজুয়েট বের হয়েছে। তারা সবাই ভালো অবস্থানে আছে। উদাহরণস্বরূপ আইন বিভাগের গ্রাজুয়েটরা ঢাকাসহ দেশব্যাপী আইন পেশায় সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।
এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে কতজন ছাত্রছাত্রীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে?
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে এ পর্যন্ত ৫টি সমাবর্তনের মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। আগামী ষষ্ঠ সমাবর্তনে আরও প্রায় ২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে কতজন শিক্ষক রয়েছেন? এর মধ্যে কতজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী?
বর্তমানে ১০৫ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন যাদের মধ্যে ২৭ জন পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক রয়েছেন। এছাড়া আরও প্রায় ১০৫ জন শিক্ষক মাস্টার্স ও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন।
স্থায়ী ক্যাম্পাস কখন চালু করেছেন? এ ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের জন্য কী কী সুবিধা রয়েছে?
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে ২০১৮ সালের স্প্রিং সেমিস্টার থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। এ ক্যাম্পাসটি একটি আন্তর্জাতিক মানের ১১ তলাবিশিষ্ট প্রায় ২টি বেজমেন্টসহ ১ লাখ ৬ হাজার বর্গফুটের সুবিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানা রকম সুযোগ সুবিধা প্রদান করে ক্যাম্পাসকে মুখরিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কতটি সাবজেক্টে ছাত্রছাত্রীরা অধ্যয়ন করছে?
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৯টি প্রোগ্রামে এ ছাত্রছাত্রীরা অধ্যয়ন করছে, যদিও এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য শুরু থেকেই স্বল্প কয়েকটি প্রোগ্রাম দিয়ে এর যাত্রা শুরু করা হয়।
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যৌথ কোনও কার্যক্রম বা ক্রেডিট ট্রান্সফারের কোনও চুক্তি আছে কি না?
বিদেশে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা স্মারক আছে। আমাদের বেশ কিছু শিক্ষার্থী চীনসহ কয়েকটি দেশে ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে অধ্যয়ন করছে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়েও অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
ছাত্রদের বৃত্তি, শিক্ষাঋণ ইত্যাদি প্রদান করা হয় কি না?
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফ ও সুদবিহীন ছাত্রঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য খণ্ডকালীন চাকরির মাধ্যমে সীমিত আয়েরও ব্যবস্থা আছে। আরেকটি যেনে খুশি হবেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আয়ের প্রায় ৪ ভাগ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি/ওয়েভার প্রদান করা হয়। অনেক গরিব ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা এখানে অধ্যয়নের সুযোগ পাচ্ছে।
স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য উন্নতমানের ক্যান্টিন রয়েছে। ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল রয়েছে। এছাড়া স্টেডিয়াম নির্মাণসহ ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে ১৭টি বাসযোগে ঢাকা থেকে আশুলিয়াস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের আনা নেওয়া হচ্ছে। অচিরেই ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশবিদেশের জন্য মডেল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
আরও পড়ুন