ব্যাংক জালিয়াতি
ফারমার্স ব্যাংকের বাবুল চিশতীসহ গ্রেপ্তার ৪
প্রকাশিত : ২১:৩৪, ১০ এপ্রিল ২০১৮
ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির এক মামলায় ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবনের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। মামলার বাদি দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাবুল চিশতির ছেলে রাশেদুল হক চিশতি, ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ এবং ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১৬০ কোটি আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের দায়ের করা মামলার অপর দুই আসামি হলেন- বাবুল চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী এবং ফারমার্স ব্যাংকের এসইভিপি ও গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন।
গ্রেপ্তারের পর বাবুল চিশতী গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় তারা (দুদক) ডেকেছে, আমরাও এসেছি। দুদক তদন্ত করছে দেখা যাক কী হয়।
ঋণ কেলেঙ্কারি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কোনো ব্যাংকে এককভাবে একজন পরিচালকের কিছু করার নেই।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ফারমার্স ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাবুল চিশতী ব্যাংকটির গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে বিপুল পরিমান অর্থ জমা ও উত্তোলন করেন।
এরপর বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় থাকা মোট ২৫টি হিসাবে নগদ ও পে অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
এর আগে দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম পুলিশের বিশেষ শাখায় চিঠি দিয়ে এই ছয় জনসহ ব্যাংকের ১৭ জন কর্মকর্তা ও গ্রাহকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চান।
ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার চার বছর না পেরুতেই ধুঁকছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে। ঋণ বিতরণে একাধিপত্যের অভিযোগে বাবুল চিশতীকেও পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আর/টিকে
আরও পড়ুন