ফিলিপাইনে চতুর্থ দিনের মতো চলছে সিনেট কমিটির শুনানি
প্রকাশিত : ১৪:১৯, ৫ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১৪:১৯, ৫ এপ্রিল ২০১৬
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনে চতুর্থ দিনের মতো চলছে সিনেট কমিটির শুনানি। জবাবদিহিতার মুখে আছেন রিজাল কর্মাশিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতো ও জাংকেট অপারেটর কিম অংসহ রেমিট্যান্স কোম্পানি ফিলরেমের কর্মকর্তারা। আর এখন পর্যন্ত প্রত্যেকেই অর্থ চুরিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে দোষারোপ করছেন পরস্পরকে।
ফিলিপাইনে সিনেট কমিটির মুখোমুখি মায়া দেগুইতো ও কিম অং। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন তারা।
শুনানির শুরুতে আবারও অর্থ চুরির দায়ভার চাপানো হয় মায়া দেগুইতোর ওপর। যদিও এবারও তিনি দায় নিতে অস্বীকার করেন। বলেন, আন্তর্জাতিক চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি।
ক্যাসিনোর জাংকেট অপারেটর কিম অং দাবি করেন, এখনও এক কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিটেন্স কোম্পানি ফিলরেমের কাছেই রয়েছে। তবে ফিলরেম এই দাবি আবারও অস্বীকার করেছে। তারা ইয়ং সু নামে আরেক ব্যবসায়ীর কথা উল্লেখ করেছে, যার কাছে অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে। যদিও মায়া দেগুইতো ইয়ং সু’র কাছে অর্থ হস্তান্তরে কথা অস্বীকার করেছেন।
রেমিটেন্স কোম্পানি ফিলরেমের দুইটি একাউন্ট বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেছে ফিলিপাইনের এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল। ওই দুই অ্যাকাউন্টে ৬শ’ ৩৪ ডলার রয়েছে।
শুনানিতে আরো উপস্থিত রয়েছেন ফিলিপাইনের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যুরোর কর্মকর্তারা, গোল্ডমুন ও সানসিটি গ্র“পের দুই জাংকেট অপারেটরসহ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন