ফুল হত্যায় দুই আসামির যাবজ্জীবন
প্রকাশিত : ১৮:১১, ২৯ জুলাই ২০১৯
কুমিল্লায় শিশু শিক্ষার্থী জারিন নুসাইবা ফুল হত্যা মামলায় রুবেল ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় নামে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক এম.এ আউয়াল এ রায় দেন।দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে, জেলার চান্দিনা উপজেলার কঙ্গাই গ্রামের রমিজ উদ্দিনের পুত্র রুবেল (১৯) ও কোতয়ালী মডেল থানার পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার সেলিম চৌধুরীর পুত্র আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় (১৯)।নিহত শিশু ফুল(৮)কুমিল্লা নগরীর নুরপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে এবং সে হাউজিং এস্টেটস্থ একটি কিন্ডার গার্টেনের কেজি শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জানা যায়, ফুলকে তার বাড়ির সামনে থেকে ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অপহরণ করা হয়। এরপর অপহরণকারীরা তার নানা সামছুল আলমের মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।এঘটনায় ফুলের বাবা বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।এ মামলায় কুমিল্লা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণের নাইটগার্ড ও জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাকোট গ্রামের আবু মিয়ার পুত্র মো.শাহাদাৎ হোসেনকে একমাত্র এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সামছুদ্দিন চৌধুরী মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে রুবেলকে আটক করেন।তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে ওই ঘটনার ৫ দিন পর ৯ জানুয়ারি নুরপুর কাজী বাড়ি পুকুর থেকে ফুলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় নামে অপর এক আসামিকে গ্রেফতার করে।
এছাড়া পুলিশ এঘটনার সঙ্গে নিহত ফুলের সম্পর্কীয় মামা নুরপুর কাজিবাড়ির কাজী জহিরুল আলমের ছেলে দিদারুল আলম ইমতিয়াজের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় এবং পরবর্তীতে সে অপর একটি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়।
পুলিশ ওই বছরের ২৬ জুন মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. শাহাদাৎ হোসেন ও নিহত হওয়ার কারণে দিদারুল আলম ইমতিয়াজকে মামলার অভিযোগের দায় থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে রুবেল ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় এর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে সোমবার দুপুরে চার্জশিটভুক্ত দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত।
কেআই/
আরও পড়ুন