ফেনীতে ১৯ মাদক ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ

ফেনীর ছাগলনাইয়া ১৯ জন মাদক কারবারী আত্মসমর্পণ করেছেন। শুক্রবার ৯টায় ছাগলনাইয়া থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এসময় আত্মসমর্পণকারীদের মাঝে সেলাই মেশিন ও বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়।

আত্মসমর্পণকারী মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন- ছাগলনাইয়া পৌরসভার ৬নং বাঁশপাড়া ওয়ার্ডের ফেলাগাজী মজুমদার বাড়ির মৃত আবদুল মুনাফের ছেলে মো. সুমন (৩৮), ওহিদুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম মজুমদার (৪৪), মহামায়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের আবুল হাশেমের স্ত্রী রুনা আক্তার (৩৭), একই গ্রামের দিদার হোসেনের স্ত্রী বিবি ফাতেমা মুক্তা (২৮), আবুল হাশেমের স্ত্রী পারুল (৪১), আবুল বশরের ছেলে ওমর ফারুক (২৭), মৃত নুরুল হকের ছেলে ইসমাঈল মিন্টু (৪০), মৃত জমিদার মিয়ার ছেলে সামছুল হক (৭০), তার সহোদর ওবায়দুল হক (৫০), পশ্চিম দেবপুরের আবু বক্করের ছেলে আবু তৈয়ব লিটন (৪২), শুভপুর ইউনিয়নের কৈয়ারা গ্রামের মৃত পঁচা মিয়ার ছেলে মফিজুল করিম (৪৫), উত্তর বল্লভপুরের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রিপন (৩৬) একই গ্রামের আবদুল মালেক মেম্বারের ছেলে মো. বেলায়েত হোসেন প্রকাশ হুদন (৪৮), সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩৭), আফজলের রহমান ভূঁইয়ার ছেলে মো.আনোয়ার হোসেন (৪০), উত্তর ছয়ঘরিয়াগ্রামের মৃত. নজির আহাম্মদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৪), মো. দিদারের স্ত্রী লাইজু আক্তার লিজা (২২), মৃত সুলতান আহাম্মদের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫) ও মৃত ওবায়দুল হকের ছেলে আবুল হাশেম (৫৭)।

ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এম এম মুর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কাজী মনিরুজ্জামান, পৌর মেয়র মো. মোস্তফা, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সামছুদ্দিন মজুমদার বুলু, ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুদ্বীপ রায় ও জেলা জাসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী আবদুল বারি।  

ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এম এম মুর্শেদ পিপিএম জানান, সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স হওয়ায় এখানকার মাদক ব্যবসায়ীরা আত্মসমর্পণের পথ খুঁজতে থাকে। পরে তাদের মাদক ব্যবসা থেকে সরিয়ে এনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেন তিনি। ভবিষ্যতে আর মাদক ব্যবসা করবেন না বলে অঙ্গীকার দিয়ে তারা পুলিশ সুপারের কাছে সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন।

 সীমান্তবর্তী এ এলাকায় মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় অভিনন্দন জানিয়ে পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ সহযোগিতা করা হয়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখে আগামীকে তাদের জীবন-জীবিকায় আরও সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান।

কেআই/