ফের সংকটে সাইফ আলী খান
প্রকাশিত : ১৬:০৭, ২২ জানুয়ারি ২০২৫
বলিউডের ছোট নবাব সাইফ আলী খানের বর্তমান সময়টা খারাপ যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই ছুরিকাঘাতের শিকার হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। কিছুটা সুস্থ হয়ে মাত্রই হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তিনি। এরমধ্যেই পেলেন আরেক দুঃসংবাদ।
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের একটি রায়ের পরে পতৌদি পরিবারের ১৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আসলে এরকম সম্পত্তি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে যে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল, সেটা সম্প্রতি তুলে নেওয়া হয়েছে। আর সেটার ফলেই ১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইনের আওতায় পতৌদি পরিবারের ১৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি সরকারের হাতে চলে যাওয়ার পথ খুলে গিয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত পতৌদি পরিবার বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
শত্রু সম্পত্তি আইনের ভিত্তিতে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, সাইফ আলী খানদের পৈতৃক সম্পত্তি (মধ্যপ্রদেশে আছে, বেশিরভাগটা আছে ভোপালে) সরকারের হাতে চলে যেতে পারে। ১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইন অনুযায়ী, দেশভাগের পরে যারা পাকিস্তান চলে গিয়েছেন, তাদের সম্পত্তি নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
ইতিহাস অনুযায়ী, ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন মেয়ে ছিলেন। বড় মেয়ে আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন।
মেজো মেয়ে সাজিদা সুলতান সাজিদা সুলতান থেকে গিয়েছিলেন ভারতেই। বিয়ে করেছিলেন নবাব ইফতিকার আলী খান পতৌদিকে। হয়ে উঠেছিলেন আইনি উত্তরাধিকারী। সেই সাজিদার নাতি হলেন সাইফ। উত্তরাধিকার সূত্রে, সাইফের নামেও সম্পত্তি থাকার কথা আছে।
২০১৯ সালে সাজিদাকে পতৌদি পরিবারের উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল আদালত। কিন্তু আবিদা যে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। ফলে একটা সংঘাত ও বিতর্কের জায়গা থেকেই গিয়েছে।
এরইমধ্যে হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২০১৭ সালের সংশোধিত শত্রু সম্পত্তি আইনের আওতায় একটি বিধিবদ্ধ প্রতিকার আছে। আর সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ৩০ দিনের মধ্যে নিজেদের মতামত পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল জানান, হাইকোর্টের নির্দেশের ৩০ দিনের মধ্যে যদি (কোনও পক্ষ) নিজেদের মতামত দাখিল করেন, তাহলে যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদন বিচার করতে হবে।
এসএস//