ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ফোনের রেডিয়েশনে বাড়ছে ক্যানসার-টিউমার

প্রকাশিত : ১৩:৩৩, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচিত বিষয় হল মোবাইল ফোন রেডিয়েশন বা বিকিরণ। মোবাইল ফোনে যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকে বা তা থেকে যে বিকিরণ আসে, তা শরীরের জন্যে কতটা ক্ষতিকর? ফোনের লেডের কারণে কি টিউমার হতে পারে? এ সব থেকে বাঁচার কি কোনও উপায় আছে? গত কয়েক বছর ধরেই এ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও এখনও সব প্রশ্নের পুরোপুরি উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, মোবাইল ফোন হয়তো ব্রেন টিউমার বা মাথা ও গলার টিউমারের ঝুঁকি অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে।

ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলি শহর একটি রুল জারি করেছে যেখানে প্রতিটি মোবাইল সেন্টারের দেয়ালে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, মোবাইল ব্যবহারের এই স্বাভাবিক মাত্রার উল্লেখ। কারণ বেশিরভাগ ফোনেই আপনি এটা খুব সহজে খুঁজে পাবেন না।

মার্কিন এবং কানাডিয়ান ক্যানসার বিজ্ঞানীরা ইদানিং অনেক ক্যানসারের রোগীকেই পাচ্ছেন, যাদের মাত্রাতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের অভ্যাসের সঙ্গে ক্যানসারকে মেলানোর যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন, ২১ বছর বয়সী স্তন ক্যানসারের একজন রোগী। নিজের ফোনটা সে সাধারণত অন্তর্বাসের ভেতরে রাখতো। দেখা গেল, তার স্রেফ একটি স্তনে ক্যানসার হয়েছে এবং ৩/৪ টি আলাদা আলাদা এমন আকৃতির টিউমার জন্মেছে যা তার বয়সী কোনও নারীর হওয়ার কথা নয়। এবং তার স্তনের ঠিক সে জায়গাগুলোতেই এই টিউমারের বিস্তৃতি হয়েছে যেখানে সে ফোনটা রাখতো। গবেষকরা বলেন, আপনার দেহের যে অংশগুলো মোবাইল ফোনের বেশি কাছাকাছি থাকে, সে অংশগুলোর ঝুকিও বেশি। যেমন, পুরুষরা বেশিরভাগ সময়ই মোবাইল রাখে তাদের প্যান্টের সামনের বা পেছনের পকেটে। ১০ বছর ধরে পরিচালিত হয়েছে এমন একটি পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, এতে করে পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণ যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে এর উর্বরাশক্তি।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি